Advertisment

"সাইক্লোনকে গুরুত্বই দেননি ক্যাপ্টেন", বিস্ফোরক দাবি বার্জ P305-এর ইঞ্জিনিয়ারের

ঘূর্ণিঝড় তাওকতে-র দাপটে আরব সাগরে জাহাজডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Barge P305

বার্জ পি৩০৫ ডুবে ২৬১ জনের মধ্যে ১৮৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় তাওকতে-র দাপটে আরব সাগরে জাহাজডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ভারতীয় নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, বার্জ পি৩০৫ ডুবে ২৬১ জনের মধ্যে ১৮৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও অন্তত ৫০ জন নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে উদ্ধারকারী দলের। এদিন সকালেই নৌসেনা আকাশপথে কপ্টারের মাধ্যমে সমুদ্রবক্ষে উদ্ধারকাজ চালায়। সোমবার থেকে দিন রাত কাজ করে চলেছে নৌসেনার রণতরী। সার্টলাইটের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারেও জীবিতদের খোঁজ চালানো হয়েছে। আরও তিনদিন এই তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নৌসেনার কমোডোর অজয় ঝা।

Advertisment

নৌসেনার রণতরী আইএনএস কোচি, আইএনএস কলকাতা, আইএনএস বিয়াস, আইএনএস বেতোয়া, আইএনএস তেগ, পি৮আই সামুদ্রিক টহলদার বিমান, চেতক কপ্টার এই উদ্ধারকার্যে শামিল রয়েছে। অন্যদিকে, আরও এক রণতরী আইএনএস তলোয়ারের মাধ্যমে গুজরাত উপকূলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ওএনজিসির তৈল উত্তোলনকারী জাহাজ সাগর ভূষণকে ভেসে থাকতে সাহায্য করছে। এটিও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটিকে ধীরে ধীরে মুম্বই উপকূলে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও গাফিলতির জেরে এতগুলি জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে ওএনজিসি। সেই কারণে পেট্রোলিয়াম-প্রাকৃতি গ্য়াস মন্ত্রকের তরফে গাফিলতির জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্তের ঘোষণা করেছে। আদৌ মৌসম ভবনের সতর্কতা এবং গাইডলাইন মানা হয়েছিল কি না এই তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বুধবারই রিপোর্টে জানায়, কোস্ট গার্ড ওএনজিসিকে দুটি সতর্কবার্তা পাঠায় যাতে ভেসেলগুলি মুম্বই উপকূলে দ্রুত ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা মানা হয়নি। তাই স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সেই কথা জানিয়েছে কোস্ট গার্ডের আধিকারিকরা।

কোনওরকমে উদ্ধার হওয়া বার্জের চিফ ইঞ্জিনিয়ার রহমান শেখ জানিয়েছেন, জাহাজের প্রত্যেকেই বেঁচে যেতেন যদি ক্যাপ্টেন সাইক্লোনের সতর্কবার্তা গুরুত্ব দিতেন। সেইসঙ্গে লাইফ ব়্যাফ্টও ফেটে যাওয়ায় আরও বিপত্তি বাড়ে। মুম্বইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগেই সাইক্লোনের সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন তাঁরা। আরও অনেক ভেসেল ফিরে গিয়েছিল। আমি ক্যাপ্টেন বলবিন্দর সিংকে বলি, আমাদের এখনই ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু তিনি বলেন, ঝোড়ো হাওয়া ৪০ কিমির বেশি বেগে আসবে না। দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে সাইক্লোন মুম্বই পার করে চলে যাবে। বাস্তবে হাওয়ার বেগ সেদিন ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা ছিল। আমাদের পাঁচটা নোঙর ভেঙে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে প্রতিহত করতে পারেনি নোঙরগুলি।

ONGC Cyclone Tauktae
Advertisment