ঘূর্ণিঝড় তাওকতে-র দাপটে আরব সাগরে ডুবে যাওয়া জাহাজের ৬৩৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। কিন্তু ঘটনার দুদিন পরেও নিখোঁজ অন্তত ৮০ জন। মুম্বই উপকূলের কাছে আরব সাগরে একটি তৈল উত্তোলনকারী বার্জ, চারটি ওএনজিসির ভেসেল এবং একটি মালবাহী জাহাজ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জানা গিয়েছে, এখনও যাঁরা জাহাজগুলিতে আটকে রয়েছেন তাঁরা ওএনজিসির হয়ে উপকূলে কর্মরত ছিলেন। তাঁরা ঠিকা শ্রমিক হিসাবে নিয়োজিত। যাঁরা উদ্ধার করা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৮০ জন পি৩০৫ বার্জে ছিলেন এবং ৮১ জন এখনও নিখোঁজ। তবে মৃত্যু সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।
প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কম্যান্ডার মেহুল কার্নিক বলেছেন, সোমবার রাতে ডুবে যাওয়া পি৩০৫ বার্জের ১৮০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বুধবারই মুম্বই উপকূলে উদ্ধার করা যাত্রীদের নিয়ে এসে পৌঁছবে নৌসেনার রণতরী আইএনএস কোচি। আরও তিন দিন ধরে উদ্ধারকাজ চলবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, গাল কনস্ট্রাক্টরের আরেকটি বার্জের ১৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পালঘরের কাছে সমুদ্রে এই বার্জটি ডুবে যায়। তৈল উত্তোলনকারী জাহাজ সাগর ভূষণে কর্মরত ১০১ জন কর্মীকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। সোমবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে জাহাজটির নোঙর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেটি উত্তরের দিকে ভেসে যেতে থাকে। ওএনজিসির চারটি বেসেল নৌসেনার রণতরীর সাহায্যে জাহাজটিকে উদ্ধার করে।
তিন নম্বর বার্জে থাকা ২০২ জন কর্মীই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নৌসেনা ও কোস্ট গার্ডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একটি টাগ বোট পাঠানো হয়েছে সেটিকে উপকূলে নিয়ে আসার জন্য।