Advertisment

ডি কোম্পানির হাল খারাপ, জমি-বাড়ির সমস্যা মিটিয়েই পেট ভরাচ্ছে দাউদের লোকেরা

দাউদের বোন হাসিনা পার্কার মারা যাওয়ার পর গোটা নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল ছোটা শাকিলের শ্যালক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
D_Company

মুম্বইয়ের গ্যাংস্টাররা- বামদিক থেকে আমিরজাদা, সামাদ খান, দাউদ ইব্রাহিম, আলমজেব

একটা সময় তাদের নামে গোটা মুম্বই কাঁপত। সেই ডি-কোম্পানির হাল এখন মুম্বই পুলিশের দৌলতে রীতিমতো বেহাল। জমি-বাড়ির সমস্যা মিটিয়ে পেট ভরাচ্ছে ডি-কোম্পানি, মানে দাউদের দলের লোকেরা। তবে, মুম্বই পুলিশের একার দৌলতে নয়। দাউদের দলের এই বেহাল দশার পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর সক্রিয়তা। এমনটাই দাবি তদন্তকারী সংস্থার। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে ছোটা শাকিলের শ্যালক সেলিম কুরেশিকে।

Advertisment

তারপরই তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে দাউদ, শাকিলর ফিরতে ভরসা না-পাওয়ায় মুম্বইয়ের অপরাধজগত চালাচ্ছিল দাউদের বোন হাসিনা পার্কার। ২০১৪ সালে পার্কার মারা যায়। তার পর ছোটা শাকিলের শ্যালক সেলিম কুরেশি মুম্বইয়ের নেটওয়ার্কটা চালাচ্ছিল। কুরেশি ওরফে ফ্রুট এবং আরিফ শেখ ওরফে আরিফ ভাইজান গ্রেফতার করা হয়েছে। আগস্টে তোলাবাজি এবং জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তার অভিযোগে গ্রেফতারের পর তাদের থেকে এসব জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

publive-image
ছোটা শাকিলের শ্যালক সেলিম কুরেশি

মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ওই দু'জনকে গ্রেফতারের পর এখনও পর্যন্ত পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাগুলি বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট (MCOCA) এর অধীনে মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। দুটি আইনেই জামিনের শর্ত বেশ কঠোর। সেই জন্য কুরেশি আর শেখকে বেশ কয়েকবছরের জন্য জেলে থাকতে হবে। মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আগে লোকেরা কুরেশি এবং শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিয়ে ভয়ে ছিল। গ্রেফতারের পর চার জন এফআইআর করতে এগিয়ে এসেছে। আরও অভিযোগ দায়েরের সম্ভাবনা আছে।'

মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চারটি মামলার মধ্যে একটি দায়ের হয়েছে মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধদমন শাখায়। অন্য তিনটি ডোংরি ও ভারসোভা থানায় দায়ের হয়েছে। মুম্বই পুলিশের তোলাবাজি দমন শাখার হাতে তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, কুরেশির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের হয় ১০ আগস্ট দাদার থানায়। দায়ের করেছিলেন মহম্মদ তাম্বে নামে এক অভিযোগকারী। তাঁর অভিযোগ, তিনি এক বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। ওই বাড়ির মালিক তাম্বে ও তাঁর ভাইপোরা।

আরও পড়ুন- চিনের সঙ্গে ফন্দি আঁটতে বেজিঙে শরিফ, ভারতের বিরুদ্ধে বুনছেন কোন অশান্তির বীজ?

মসজিদ বন্দর এলাকার ওই বাড়ি নিয়ে ২০২১ সালের জুনে তাম্বে ও তাঁর ভাইপোদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এরপর কয়েকজন ভাড়াটে তাম্বেকে একটি আইনি নোটিস দেখান। সেখানে লেখা ছিল, এই বাড়ি ৫০ শতাংশ মালিকানা কুরেশিকে বেচা হয়েছে। তাই তাঁকেই এখন থেকে ভাড়া দিতে হবে। এরপর তাম্বে দাদারের জমি ও বাড়ি রেজিস্ট্রেশন অফিসে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, ২১ লক্ষ টাকা ওই বাড়ির শেয়ার বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, জাল নথি, ভুয়ো ভাড়াটের তালিকা, জাল ভাড়ার স্লিপ, ডুপ্লিকেট গোমস্তা লাইসেন্স এই বিক্রিতে ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু, এত তথ্য সংগ্রহের পরও কুরেশির বিরুদ্ধে এফআইআর করতে তাম্বে সাহস পাচ্ছিলেন না।

একবছর পর তিনি পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে সাহস অর্জন করেন। আর, কুরেশি, নিজের ভাইপো-সহ নয় জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধদমন শাখায় কুরেশি ও তাঁর স্ত্রী সাজিয়া-সহ নয় জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেখানেও সম্পত্তি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে কুরেশিরা প্রতারাণা করেছেন বলে এফআইআরে জানানো হয়েছে।

Read full story in English

mumbai Mumbai Police Arrest
Advertisment