যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার কিছু ছাত্রের প্রতিবাদের নামে দাদাগিরির সাক্ষী হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) বম্বে। কয়েকদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের সময় এক ছাত্রের শরীরে তাবিজ, মাদুলি বা আংটি আছে কি না, তা নিয়ে তাঁকে মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছিল কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা ঘটেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে।
এবার, অনেকটা সেই ধাঁচেই আইআইটি বম্বের মেসে একটি ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। সেখানে মেস কাউন্সিলের দ্বারা মনোনীত 'শুধুমাত্র-ভেজ' টেবিল ঘোষণার একদিন পরে, কিছু ছাত্র সংরক্ষিত ছয়টি টেবিলের একটিতে আমিষ খাবার খেয়ে প্রতিবাদের নামে অন্যান্য পড়ুয়াদের ওপর দাদাগিরি বা অধিকার ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রদের বক্তব্য, নিরামিষ ছাত্রদের জন্য টেবিল নির্ধারণ করে, মেস কাউন্সিল বিভাজনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। সেটা অপ্রয়োজনীয়, কারণ ছাত্রদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে। এক অভিযুক্ত ছাত্রের কথায়, 'আমরা এই সরকারি বিচ্ছিন্নতার বিরোধিতা করি। একভাবে প্রশাসনের অন্তর্ভুক্তিকে উত্সাহিত করার তথাকথিত চেষ্টায় শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছে।' এই ঘটনার জেরে ভয়ে নিরামিষাশী ছাত্ররা কোনও বক্তব্য জানাতে সাহস পাননি বলেই অভিযোগ।
অথচ, নিরামিষাশী ছাত্ররা যে অন্যরকম চেয়েছিলেন, তা ফুটে উঠেছে মেস কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে। বুধবার আইআইআইটি বম্বের হস্টেল ১২, ১৩ এবং ১৪-র মেস কাউন্সিলে একটি ইমেল করে। সেখানে জানায়, কাউন্সিল ছয়টি টেবিল ঠিক করেছে। সেখানে যাঁরা শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার গ্রহণ করেন, তাঁরাই খেতে পারবেন। ইমেলে লেখা হয়েছে, 'কোনও সন্দেহ নেই যে কিছু লোক আছেন, যাঁরা তাঁদের খাবারের সময় আমিষ খাবারের দৃশ্য এবং গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। সেটা তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।'
আরও পড়ুন- ২০০০ এর নোট: সিদ্ধান্ত বদল আরবিআইয়ের, কী জানাল?
একইসঙ্গে ইমেলটিতে জানানো হয়েছে যে, সবার জন্য শান্তিপূর্ণ খাবার খাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে মেস কাউন্সিল মাত্র ছয়টি টেবিলকে নিরামিষাশীদের জন্য বরাদ্দ করেছে। কিন্তু, মেস কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকেই একদল বাম মনোভাবাপন্ন পড়ুয়া বিক্ষোভের দিকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আর, তারপরই বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি ঘটেছে।