Advertisment

তৃতীয় ঢেউয়ে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ ৩৭ হাজার?মুখ্যমন্ত্রীর দাবিতে তটস্থ রাজ্য

গত ২০ এপ্রিল সেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৮ হাজার। কিন্তু শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ ৪০০-র ওপরে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid-19 in India, India Corona, CBSE, Arvind Kejariwal,

অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অন্যতম বিপর্যস্ত রাজ্য দিল্লি। লকডাউন, করোনা বিধির প্রভাবে সেই রাজ্যে সংক্রমণ হার এখন নিম্নমুখী। কিন্তু টিকাকরণ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউ। আর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা এই ঢেউয়ে প্রতিদিন ৩৭ হাজার মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। সেই সংখ্যা ধরেই এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisment

আধিকারিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে এই সমীকরণ মাথায় রেখেই উঠেপড়ে লাগতে বলেছেন কেজরিওয়াল। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘দিন প্রতি ৩৭ হাজার সংক্রমণ নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংক্রমণ বাড়লে তার বন্দোবস্ত করা হবে। একটা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারাই আইসিইউ, হাসপাতাল শয্যা, অক্সিজেন এবং ওষুধের সরবারহ এবং বন্দোবস্তের ওপর নজর রাখবে।‘

গত ২০ এপ্রিল সেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৮ হাজার। কিন্তু শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ ৪০০-র ওপরে। পজিটিভ রোগীর সংখ্যা প্রায় ০.৫%।

এদিকে, গ্রিক অক্ষরে করোনা প্রজাতির নামকরণ শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)। ভারতকে কাৎ করে দেওয়া দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিছনে যে স্ট্রেন, তার নাম ডেল্টা প্রজাতি। এবার এই প্রজাতিকে রুখতে দুটি ডোজের মাঝের ব্যবধান কমাতে পরামর্শ দিল ল্যান্সেট জার্নাল। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে ল্যান্সেট।

ল্যান্সেট পর্যবেক্ষণে বলা, ‘করোনার আদি প্রজাতির ওপর কার্যকর ফাইজার টিকা। কিন্তু ডেল্টা প্রজাতির ওপর অকার্যকর এই টিকা।এই টিকায় আদি প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা ৭৯%। আলফা প্রজাতির বিরুদ্ধে ক্ষমতা ৫০% আর চলতি ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে ক্ষমতা ৩২%। এমনকি, দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্রেন কিংবা বিটা প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা ২৫%।‘

তাই সমীক্ষায় উল্লেখ, প্রথম টিকা নেওয়ার পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সময়ে দ্বিতীয় টিকা না পেলে তা কার্যকারিতা হারায়। তবে টিকা নিয়ে করোনা আক্রান্ত হলে, চিকিৎসাধীন হওয়ার শতাংশ কম। এমনটাও উল্লেখ সেই সমীক্ষায়।

এদিকে, ল্যান্সেটের এই সমীক্ষায় দেশের টিকানীতিকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ডেল্টা প্রজাতির রমরমা। এদিকে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছে  স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ব্যবধান করা হয়েছে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। অর্থাৎ ৩-৪ মাস। গবেষকরা বলছে, দুটি ঢেউয়ের মাঝের সময়টা অন্তত ৫-৬ মাস। এই সময় মেনে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলে আটকান সম্ভব হবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Arvind Kejriwal COVID-19 Delhi Corona Third Wave
Advertisment