গত দু'সপ্তাহ ধরে ৪০ হাজারের গণ্ডিতেই থমকে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৫০৬ জন। শনিবার সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪১ হাজার ৫২৬ জন। গত দিন কোভিডে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা হাজার পেরিয়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়চ্ছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় এই সংখ্যাটা কমেছে। শনিবার দেশে করোনায় প্রাণ গিয়েছে ৮৯৫ জনের। আপাতত ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ১১৮ জন। যা মোট আক্রান্তের দেড় শতাংশেরও কম।
বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ। সুস্থতার হার প্রায় ৯৭.২০ শতাংশ। আপাতত মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮ হাজার ৪০ জন।
একদা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের মডেল রাজ্য কেরালাই বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দক্ষিণী এই রাজ্যে ক্রমশ সংক্রমণের দাপট বাড়ছে। আক্রান্তের নিরিখে ভারতে কেরালাই এখন শীর্ষে। শনিবার এ রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ০৮৭ জন।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-য়ের দাপট কমেছে। ফলে একাধিক রাজ্যেই করোনা-বিধি, লকডাউন, নাইট কার্ফু শিথিল হয়েছে। আর এরপরই পর্যটন কেন্দ্র, তীর্থ ক্ষেত্রগুলোতে লাগাম ছাড়া জমায়েত লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা কোভিডের তৃতীয় ঢেউ-কে মারাত্ম করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া হাতে রাশ ধরতে চাইছে কেন্দ্র। ইতিমদ্যেই দেশের আট রাজ্যকে সতর্ক করেছে মোদী সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউ কমলেও এখনও তা পুরোপুরি তার অবসান হয়নি। ফলে মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ করোনা-বিধি কঠোরভাবে পালন করতে হবে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এ কে ভাল্লা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
দৈনিক সংক্রমণ কমলেও করোনার আর ভ্যালু বা আক্রান্তের থেকে অন্যের শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার বাড়ছে। যা মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর ভ্যালুর এই বৃদ্ধি সতর্কতার ইঙ্গিত।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন