মাত্রাছাড়া সংক্রমণে কতটা তৈরি দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি? তা জানতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে চলতি সপ্তাহেই দুই দিনের বিশেষ মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়। ইতিমধ্যেই দেশে দৈনিক সংক্রমণ সাতহাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে।
সরকারি মক ড্রিলের ডেটা অনুসারে হাসপাতালগুলিতে ৯০% শয্যা প্রস্তুত রয়েছে করোনা মোকাবিলায়। ডেটা অনুসারে বর্তমানে ২.১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড, ৩.০৪ লক্ষ অক্সিজেন শয্যা এবং ৫৪,০৪০টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রয়েছে কোভিড মোকাবিলায়। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে মজুত রয়েছে ৬.৮৫ লক্ষ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২.৬১ লক্ষ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া ক্রমবর্ধমান কোভিড মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কয়েকদিন পরে মক ড্রিলটি পরিচালিত হয়েছিল।
দেশে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭হাজার ৮৩০, সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বুধবারই দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ হাজারের গণ্ডি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ সপ্তাহে ৩হাজারের বেশি আক্রান্তের সংখ্যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
কোভিডের সংখ্যা দ্রুত বাড়ার কারণ রিকম্বিন্যান্ট সাব-ভেরিয়েন্ট XBB.1.16, হুহু করে ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের এই নয়া প্রজাতি। নতুন এই ভেরিয়েন্টে সংক্রমণের তীব্রতা, হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর সংখ্যা সেভাবে না বাড়লেও পরিস্থিতি যাতে কোন ভাবেই হাতের বাইরে না যায় তার জন্য তৎপর কেন্দ্র। কেরালা, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশ এবং হরিয়ানার পরিস্থিতি রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে।