উত্তরপ্রদেশে শিক্ষকের মারে মৃত্যু হল এক দলিত বালকের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলায়। বছর ১৫-র ওই বালক সোমবার সকালে মারা যায়। দিন ১৪ আগে তাঁকে এক শিক্ষক বেধড়ক মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। তারপর থেকে ই ছাত্রের চিকিৎসা চলছিল। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০৮ ধারা (হত্যার চেষ্টা), ৩২৩ (ইচ্ছাকৃতভাবে মারধর), ৫০৪ (শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান)-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইন, নৃশংসতা প্রতিরোধ আইনেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই আউরাইয়াতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ সামলাতে এলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি দুটি ব্যক্তিগত গাড়িও ভাঙচুর করেছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে মৃত ছাত্রের দেহ তুলে দেওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা তা স্কুলের বাইরের রাস্তায় ফেলে দেয়। পাশাপাশি, পুলিশের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। পরে, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আরও পড়ুন- টেটের OMR শিট কারচুপি: তদন্ত করবে CBI, প্রয়োজনে মানিককে গ্রেফতারের নির্দেশ
কানপুর জোনের অতিরিক্ত ডিজি ভানু ভাস্কর জানিয়েছেন, উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা ঘটনাস্থলে বিশাল বাহিনী নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। মৃত ছাত্রের পরিবার তাদের ছেলের শেষকৃত্যের জন্য দেহ গ্রামে নিয়ে গিয়েছে। আউরাইয়ার সার্কেল অফিসার মহেন্দ্র প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে এই মারধরের আগে ছেলেটি কিডনির রোগে ভুগছিল। ভর্তি ছিল লখনউয়ের হাসপাতালে। ওই ছাত্রের অসুস্থতা এবং চিকিৎসার বিবরণ হাসপাতাল ও মৃত ছাত্রের পরিবারের থেকে সংগ্রহ করবেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় ভুল উত্তর লেখার অভিযোগে ৭ সেপ্টেম্বর স্কুলে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রের বাবা পুলিশের কাছে একটি এফআইআর দায়ের করেন। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছিল, মারধরের চোটে ওই পড়ুয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক চিকিৎসার খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, ওই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে আরও টাকা চাইতে গেলে, তাঁর প্রতি বর্ণবাদী মন্তব্য করে তাড়িয়ে দেন অভিযুক্ত।
Read full story in English