/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/trappier-ambani-7.jpg)
ট্রাপিয়ের এবং অনিল আম্বানি
রাফালে চুক্তির জন্য অংশীদার হিসেবে আম্বানিকে বাছার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফরাসি যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা ডসাল্ট-ই। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানালেন ডসাল্ট অ্যাভিয়েশনের সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ের।
রাফালে নিয়ে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে ট্র্যাপিয়ের বলেছেন, "খুব স্বচ্ছ চুক্তি ছিল। দুই সরকারের মধ্যে দরাদরির পর ৯ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল দামে। আমরা নিজেরাই অনিল আম্বানিকে বেছেছিলাম। আম্বানি ছাড়াও আমাদের আরও ৩০টি অংশীদার সংস্থা রয়েছে।
দুর্নীতির প্রসঙ্গে ট্র্যাপিয়ের বলেছেন, "আমি মিথ্যে বলিনা। আমি যা বিবৃতি দিয়েছি, সেটাই সত্যি। সিইও পদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে আপনিও মিথ্যে বলবেন না"।
আরও পড়ুন, একবছর দরাদরির পর চূড়ান্ত হয়েছিল রাফালে চুক্তি: কেন্দ্র
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন নাগপুরের কাছে একটি জমি কেনার জন্য ডসাল্টের তরফ থেকে ২৮৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল অনিল আম্বানির সংস্থাকে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্র্যাপিয়ের বলেন, "এমন অভিযোগ ওঠায় আমি দুঃখিত। কংগ্রেসের জমানাতেও ব্যবসা করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। ভারতে আমাদের প্রথম চুক্তি নেহরুর শাসনকালে, ১৯৫৩ সালে। আমরা কোনো দলের হয়ে কাজ করিনা, ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য কাজ করি। সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
#WATCH Dassault CEO Eric Trappier clarifies on the pricing of the #Rafale aircrft pic.twitter.com/E21EumrQAt
— ANI (@ANI) November 13, 2018
রাফালের দাম নিয়েও প্রশ্ন করা হয় সাক্ষাৎকারে। জবাবে ডসাল্ট সিইও বললেন, "দামের ক্ষেত্রে ১৮টা যুদ্ধবিমানের দাম যা, ৩৬টার তার দ্বিগুণ হবে, এই হিসেব ধরেই আমি ব্যবসা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দু'দেশের সরকারের মধ্যে দরাদরি হওয়ায় ৯ শতাংশ দাম কমাতে হয়েছিল আমাদের"।
ট্র্যাপিয়ের সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন ২০১২ সালের চুক্তি মেনে গত বছর ডসাল্ট এবং রিলায়েন্সের মধ্যে ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। আমরা রিলায়েন্সকে টাকা দিচ্ছি না। দুই সংস্থার অংশীদারিত্বে তৈরি হওয়া জেভি সংস্থায় ৪৯ % শেয়ার রয়েছে ডসাল্টের। বাকি ৫১% রিলায়েন্সের", জানিয়েছেন ট্র্যাপিয়ের।