দভিন্দর সিং মামলা: এনআইএ-র জালে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধান

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য নাভিদ মুস্তাককে অর্থ সহায়তা করত তানবীর।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য নাভিদ মুস্তাককে অর্থ সহায়তা করত তানবীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কাশ্মীরের বরাখাস্ত ডিএসপি দভিন্দর সিং মামলায় গ্রেফতার আরও এক। এবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার তানবীর আহমেদ। ধৃত সীমান্ত বরাবর ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি বলে জানা গিয়েছে। গত বুধবার দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এদিন তাকে জম্মুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দভিন্দর মামলায় এই নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হল।

Advertisment

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য নাভিদ মুস্তাককে অর্থ সহায়তা করত তানবীর। সে পাক জঙ্গিদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে মধ্যস্থাতাকারীর ভূমিকা পালন করত বলে সন্দেহ। এছাড়াও, তানভির হিজবুল ও লস্কর জঙ্গিদের কাছে অর্থ পৌঁছে দিত। জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও অস্ত্র জোগান সম্পর্কিত বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুলগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় কাশ্মীর পুলিশের বহিষ্কৃত ডিএসপি দভিন্দর সিংকে। একই সঙ্গে ধরা হয় জঙ্গি নাভিদকেও।

আরও পড়ুন: হিজবুল মুজাহিদিনের ‘পে-রোলের’ অন্তর্ভুক্ত ছিল বহিষ্কৃত ডিএসপি দভিন্দর

Advertisment

দভিন্দর মামলার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের ‘পে-রোলের’ অন্তর্ভুক্ত ছিল জম্মু-কাশ্মীরের বহিষ্কৃত পুলিশ অফিসার দভিন্দর সিং। বর্তমানে এনআইএ হেফাজতে রয়েছে সে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরাতেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি হিজবুল জঙ্গি নভিদ মুস্তাকের সঙ্গেই ধরা পড়ে দভিন্দর। মাথাপিছু অর্থের বিনিময়ে জঙ্গিদের নিরাপদে জম্মুতে নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কেবল জঙ্গিদের নিরাপদে আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই নয়, দভিন্দর সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটির থেকে নিয়মিত টাকা পেতেন।

এনআইয়ের এক আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘নাভিদের সঙ্গে সে যখন ধরা পড়েছিল তখন সে জঙ্গিদের নিরাপদে আশ্রয় দিচ্ছিল। পুরো শীতকালজুড়েই জঙ্গিরা জম্মুতে থাকত। এরপর জঙ্গিরা পাকিস্তানে চলে যেত। তদন্তে আমরা জঙ্গিদের পাকিস্তান যাওয়ার পথই খুঁজে বার করার চেষ্টা করছি। এই কাজের জন্য দভিন্দর মাথাপিছু ২০-৩০ লক্ষে টাকা নিত। তবে এক্ষেত্রে অবশ্য সে সম্পূর্ণ অর্থ পায়নি।’

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারই অন্য এক আধিকারিকের কথায়, ‘গত এক বছর ধরেই জঙ্গি নাভিদের সঙ্গে দভিন্দরের যোগাযোগ ছিল। তার থেকে নিয়মিত সে অর্থ পেত। শুধু তাই নয়, বহিষ্কৃত পুলিশ অফিসার হিজবুল মুজাহিদিনের ‘পে-রোলের’ অন্তর্ভুক্ত ছিল।’

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

NIA national news