তুমুল হিংসার পর শান্তির বার্তা দিতে বড় পদক্ষেপ করল পুলিশ। রামনবমীতে সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে আতঙ্কিত গুজরাটের ভদোদরায় শান্তি ফেরাতে ইফতার পার্টিতে যোগ দিলেন পুলিশকর্মীরা। মোদীর রাজ্যে এই সম্প্রীতির ছবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শান্তির বার্তা দিতেই থানার পাশে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দেন পুলিশ কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, থানার ৬ জন পুলিশকর্মী নবপুরায় ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। খাটকিওয়াড় এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনদের আমন্ত্রণে শামিল হন তাঁরা। গত ৩০ মার্চ ২ কিমি দূরে রামনবমীর মিছিল ঘিরে হিংসা ছড়িয়েছিল। থানার তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা দিতে রমজান মাসে নবপুরা থানার ওসি-সহ ৬ পুলিশকর্মী ইফতার পার্টিতে যোদ দেন। সেখানে মৌলভী-সহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সৌজন্যের বার্তা দিয়েছে।
রবিবার ইফতার পার্টিতে যোগ দেন ইনস্পেক্টর এইচ এল আহির, এসএআই পুরুষোত্তম রাঞ্চোড়ভাই-সহ ৬ জন। আহির দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "স্থানীয় মুসলিম যুবকদের কাছ থেকে আমরা ইফতার পার্টির আমন্ত্রণ পাই। তার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ায় আমরা যোগ দিই। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এই মহৎ উদ্দেশ্যে যোগ দিই। সমাজের জন্য এটাই কল্যাণকর।"
আরও পড়ুন ফের বিজেপি শাসিত রাজ্যে আক্রান্ত মুসলিমরা, হকি স্টিক দিয়ে মহিলা-শিশুদেরও মারধর, মসজিদে ভাঙচুর
ভদোদরার যুগ্ম কমিশনার মনোজ নিনামা জানিয়েছেন, "কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি তৈরি করতে হবে। সবার আস্থা পেতে হবে। এতে সেতুবন্ধন হয় সব ধর্মের মানুষের মধ্যে।"
তবে পুলিশকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে। রামনবমীর মিছিলে যাঁরা পাথর ছুড়েছিল এখনও সব দোষীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তার বদলে মুসলিমদের সঙ্গে ইফতারে শামিল হওয়ায় হিন্দু সংগঠনগুলি কটাক্ষ করেছে পুলিশকে।