ভ্যাকসিন এসে গেলেও দেশে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত। জীবনদায়ী ওষুধ, অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জাইডাস-ক্যাডিলা সংস্থার ভিরাফিন ওষুধকে ছাড়পত্র দিল। পূর্ণূবয়স্ক করোনা রোগী যাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল, তাঁদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।
গত ৫ এপ্রিল সংস্থার তরফে ভিরাফিন ওষুধের ছাড়পত্রের জন্য কেন্দ্রকে আবেদন জানানো হয়। সংস্থার দাবি, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আশাপ্রদ ফল মিলেছে এই ওষুধে। এই ওষুধ ব্যবহারে ৯১.১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হয়েছে রোগী। আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। এতে অক্সিজেন সাপোর্টেরও বেশি দরকার পড়েনি।
এই ওষুধের জেনেরিক নাম Pegylated Interferon alpha-2b। একটি বিবৃতিতে সংস্থার দাবি, অন্যান্য অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধের থেকে বেশি কার্যকর ভিরাফিন। অনেক বছর ধরেই হেপাটাইটিস বি ও সি- রোগীর ক্ষেত্রে ভাল কাজ করেছে এই ওষুধ। একাধিক ডোজে রোগীর স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রোগীর শ্বাসকষ্ট কমেছে এবং অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন পড়েনি। করোনা রোগীদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা একটা চিন্তার কারণ।
এদিকে, আইআইটি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, যে হারে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়়ছে তাতে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩-৩৫ লক্ষে পৌঁছবে। কিন্তু আশার আলো এই যে, মে মাসের শেষে দ্রুত সংক্রমণ নিম্নমুখী হবে। গাণিতিক মডিউল অনুযায়ী এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়।