পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভোভ্যাক্স-কে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ওপর প্রয়োগে অনুমতি দিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (ডিসিজিআই)। শর্তসাপেক্ষে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে কোভোভ্যাক্স হল করোনার চতুর্থ টিকা, যেটিকে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন গত সপ্তাহেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ওপর প্রয়োগের জন্য কোভোভ্যাক্স-কে অনুমোদন দিয়েছিল। তারপর বুধবার ছাড়পত্রে ঘোষণা করেছে ডিসিজিআই।
সরকার ১৫ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ধারাবাহিকভাবে বলেছে যে, টিকা দেওয়ার অতিরিক্ত প্রয়োজন এবং টিকার মাধ্যমেই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ সম্ভব।
ডিসিজিআই-এর কাছে ইমার্জেন্সি ইউজ অথারাইজেশনের ডিরেক্টার প্রকাশ কুমার সিং গত ২১ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন যে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ২৭০৭ জন শিশুর উপর করা দু'টি গবেষণার তথ্যে প্রকাশ যে, কোভোভ্যাক্স অত্যন্ত কার্যকর, প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম ও নিরাপদ। একটি সরকারী সূত্র জানাচ্ছে যে, ২১ ফেব্রুয়ারির আবেদনে উল্লেখ রয়েছে যে, 'এই অনুমোদন শুধুমাত্র আমাদের দেশের জন্যই উপকারী নয়, বরং সমগ্র বিশ্বকে উপকৃত করবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মেকিং ইন ইন্ডিয়া-র দৃষ্টিভঙ্গি পূরণ করবে। ডক্টর আদর সি পুনাওয়ালার দর্শণের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, আমরা নিশ্চিত যে কোভোভ্যাক্স আমাদের দেশ ও বিশ্বের শিশুদের কোভিড-১৯ রোগ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের জাতীয় পতাকাকে উঁচু করে রাখবে।'
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কদের জরুরী পরিস্থিতিতে সীমিত ব্যবহারের জন্য কোভোভ্যাক্স টিকা অনুমোদন করেছে ডিসিজিআই।তবে এই টিকা এখনও দেশের টিকাকরণ অভিযানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
Read in English