ভিন্ন ধরনের বুস্টার ডোজ হিসেবে কোরবেভ্যাক্স ব্যবহারের অনুমতি দিল ডিসিজিআই। এর ফলে যাঁরা কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন নিয়েছেন, উভয়েই বুস্টার ডোজ হিসেবে কোরবেভ্যাক্স ব্যবহার করতে পারবেন। এতদিন যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁদেরকে কোভিশিল্ডই ডোজ হিসেবে নিতে হত। আর, যাঁরা কোভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদেরকে নিতে হত কোভ্যাকসিনই।
কোরবেভ্যাক্স তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল-ই। তারা দাবি করেছে, 'গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কোরবেভ্যাক্স ব্যবহার করলে ইমিউনিটি বাড়ে। মানুষের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের বুস্টার ডোজই দেশবাসীর জন্য প্রয়োজন।' মোট ৪১৬ জনের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। তার পরই এই ডোজকে ছাড়পত্র দিল ডিসিজিআই বা কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন নেওয়ার ছ'মাস পরে কোরবেভ্যাক্সের বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার দাবি, যাঁরা কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের 'সার্স-কভ-২' ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তিন মাস ধরে যাঁরা কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের ওপর নজর রাখা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিনের কোনও খারাপ প্রতিক্রিয়া নেই।
বর্তমানে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদেরও কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এই ভ্যাকসিন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সিদেরও দিচ্ছে। তবে, সেজন্য অর্থ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষকে কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে এই ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি।
আরও পড়ুন- ফোঁস করতেই সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তুমুল আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণ কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার থেকে কিনেছে। সেই কারণে এখন বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সরকার কি তাহলে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেবে? যদিও এই ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে, কোরবেভ্যাক্স অনুমতি পাওয়ায় বুস্টার ডোজের চিন্তা যে সরকারের ঘুচল, তা একান্তে স্বীকার করে নিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারাও।
Read full story in English