মণিপুর ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে ষষ্ঠ অভিযুক্ত গ্রেফতার, মিজোরাম থেকে প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন মেইতি্রা। এর মাঝেই দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়ালকে মণিপুরে যেতে না দেওয়ার অভিযোগ।
মণিপুরের ভাইরাল ভিডিওকাণ্ডে এক নাবালক সহ ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই অবরোধ চলছে। পাহাড় ও উপত্যকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়ালকে মণিপুরে যেতে দেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের ধরতে রাজ্যজুড়ে একাধিক পুলিশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। হিংসার আতঙ্কে মিজোরাম থেকে পালাচ্ছে মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষজন।
গত ৪ মে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মেইতেই সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ দুই কুকিজোমি সম্প্রদায়ের মহিলাকে নগ্ন করে প্রকাশ্যে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ ওঠে গণধর্ষণেরও। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সারাদেশের মানুষজন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি দাবি ওঠে। এর আগে গ্রেফতার হওয়া চার আসামিকে ১১ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
'দেশ বাঁচিয়েছে কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেনি'
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দেখতে পাওয়া মহিলা প্রাক্তন সেনাকর্মী স্ত্রী। তিনি কার্গিল যুদ্ধে আসাম রেজিমেন্টের অংশ ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন তিনি কার্গিলে দেশকে বাঁচিয়েছিলেন কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি। ২১ জুন সাইকুল থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি তার বোনকে জনতার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তাকে হত্যা করা হয়। উত্তেজিত জনতা ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে।
মণিপুরে যেতে দেওয়া হয়নি স্বাতী মালিওয়ালকে
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ভাইরাল ভিডিও’র পর মণিপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে মণিপুর সরকার তাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। মালিওয়ালের মণিপুর সফর ২৩ জুলাই নির্ধারিত ছিল এবং তিনি সেখানে থাকতেন ৩০ জুলাই পর্যন্ত। ডিজিপিকে একটি চিঠিতে, তিনি জানিয়েছেন, যে তিনি রাজ্য পরিদর্শন করতে এবং প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করতে চান। বৃহস্পতিবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠিও লিখেছেন।
ফের হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরে। এখানে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা সামনে আসে। এর পর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে মণিপুরের প্রায় সব জেলাতেই চলছে অবরোধ। পাহাড় ও উপত্যকায় ১২৫টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য প্রায় ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।