নোটিশ ছাড়া কোনভাবেই বেআইনি দখলদারদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে কড়া বার্তা দিল্লি হাই কোর্টের। ‘সরকারি জমিতে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদের ক্ষেত্রে মানতে হবে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। রাতের অন্ধকারে বুলডোজার চালিয়ে তাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে অসহায় মানুষ গুলোকে পথে বসানো চলবে না’। বিচারপতি সুব্রামনিয়াম প্রসাদ এক রায়ে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের ক্ষেত্রে দিল্লি আরবান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। কোন নোটিশ ছাড়া ভোরবেলা অথবা রাতের অন্ধকারে তাদের ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া যাবে না’। তিনি বলেন, ‘যে সকল বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে অথবা তিন মাসের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে’। ২০২১ সালের ২৫ জুন দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রাতারাতি উচ্ছেদভিযানের বিরুদ্ধে এই রায়ে দিল্লি হাইকোর্ট এই আদেশ দেয়।
আবেদনকারীরা যোগ করেছে যে ডিডিএ আধিকারিকরা পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই প্রায় ৩০০ বাড়ি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। আদালত এদিন তার ৫১ পাতার রায়ে উল্লেখ করে, “ বাসিন্দাদের উচ্ছেদের আগে তাদের সেই সংক্রান্ত নোটিশ দিতে হবে পাশাপাশি তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য তিন মাসের সময়ও দিতে হবে অথবা দিল্লি আরবান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ডের অধীনে থাকা আবাসনে তাদের থাকা ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের আবেদনে, বস্তিবাসীরা পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: < দেশে প্রথম মহিলা মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিশ, তৎপরতা তুঙ্গে দিল্লিতে! >
এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিপ্তে বিচারপতি সুব্রামনিয়াম প্রসাদ বলেন, ‘একজন ব্যক্তিকে, যাকে দখলদার বলে দাবি করা হয়েছে, তার বাসস্থান থেকে রাতারাতি সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিডিএ-এর পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়”। এর আগে গত ২রা অগাস্ট এই রায়ে আদালত বলে, এই ধরনের ব্যক্তিদের উচ্ছেদের ক্ষেত্রে তাদের সময় এবং নোটিশ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবং তাদের একটি অস্থায়ী আবাসনেরও ব্যবস্থা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। উচ্চ আদালতের দেওয়া একটি পূর্ববর্তী রায়ের উল্লেখ করে, বিচারক উল্লেখ করেছেন যে, দোরগোড়ায় বুলডোজার দিয়ে ভোরবেলা অথবা রাতের অন্ধকারে দখলদারদের উচ্ছেদ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে মানতে হবে আইনি প্রক্রিয়া।