দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন স্বীকৃতি দিয়ে ইউক্রেনকে চরম বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারত জানায়, ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে সংঘাতের পরিবেশ গভীর উদ্বেগজনক। ওই অঞ্চলে শান্তি-সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে, জানালেন ভারতের প্রতিনিধি।
পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধের মেঘ ঘনাতেই তড়িঘড়ি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকে রাষ্ট্রসংঘ। ভারত সেই বৈঠকে জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাত থামাতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। সেটাই এই প্রাথমিক কর্তব্য হওয়া উচিত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, "ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সীমান্তে সংঘাত-উত্তেজনা গভীর উদ্বেগের। এর ফলে ওই অঞ্চলে শান্তি-সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেছেন, "আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছেই সংযত হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, কূটনীতির পথেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। নাগরিকদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকদের রক্ষা করা প্রাথমিক এবং প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত। ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় থাকেন। অনেকে ইউক্রেনে পড়াশোনা করতে এসেছেন। তাঁদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।"
আরও পড়ুন বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা, ইউক্রেনকে চরম বার্তা দিলেন পুতিন
প্রসঙ্গত, পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে। যখন তখন ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তার আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধে যাওয়া উচিত কি না তা মন্ত্রীদের কাছ থেকে মতামত নেন। তার পর বৈঠক শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে জ্বালাময়ী, আবেগপূর্ণ ভাষণ দেন পুতিন। সেই ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের দুটি রুশ সমর্থিত অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুন যুদ্ধের পথে হাঁটবেন কি না, সেই ব্যাপারে মন্ত্রীদের মতামত নিলেন পুতিন
পুতিনের ঘোষণার পরই তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেই বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। পুতিন এদিন ভাষণে বলেন, “কিয়েভে যাঁরা ক্ষমতার অলিন্দে বসে রয়েছে, তাঁদের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে সেনা শক্তিপ্রদর্শন বন্ধ করা হোক।” ঘণ্টাখানেকের বক্তব্যে পুতিন হুঁশিয়ারি দেন, “যদি তা না করা হয় তাহলে রক্তপাতের দায় পুরোপুরি বর্তাবে কিয়েভের উপর। ইউক্রেন সরকার সম্পূর্ণ ভাবে যুদ্ধের জন্য দায়ী থাকবে।” এর পরই নাগরিকদের জন্য চিন্তায় ঘুম উড়েছে নয়াদিল্লির।