Hooghly: মঙ্গলবার সকালে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে চক্ষু চরকগাছ শ্রীরামপুরবাসীর। গঙ্গাস্নান দূরে থাক, ততক্ষণে চাপা আতঙ্ক এলাকার কালীবাবু শ্মশানঘাটে। গঙ্গার ঘাটের কাছে কচুরিপানার মধ্যে উল্টে পড়ে কুমির। চারিদিকে দুর্গন্ধে মম করছে। বোঝাই যাচ্ছে দেহে পচন ধরে গিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে শ্রীরামপুর কালিবাবুর শ্মশান ঘাটের এই দৃশ্য দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা আতঙ্ক। স্নান করতে যারা এসেছেন, তাঁদের মধ্যেও গঙ্গায় নামা নিয়ে আতঙ্ক।
বেশ কিছু দিন ধরে গঙ্গায় কুমির দেখতে পেয়েছিল নদিয়ার বাসিন্দারা। এমন একটা খবর চাউর হয়েছিল। সেই কুমির নাকি অসুস্থ, এমন কথাও লোকমুখে চাউর হয়েছিল। সেই কুমিরটি এটাই কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ এলাকা বাসীদের। তবে গঙ্গায় কুমির দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু ঘোষ বলেন, 'কচুরিপানার মধ্যে উল্টে পড়ে ছিল কুমিরটা। এতদিন ইউটিউবে দেখেছি কাটোয়া, বলাগড়ের দিকে গঙ্গায় কুমির ভাসতে দেখা গিয়েছে। বিশ্বাস করিনি। ভেবেছিলাম রটনা। এখন দেখছি সবটাই সত্য। এতদিন গঙ্গায় শুশুক দেখেছি। কিন্তু এবার কুমির! এবার থেকে আর গঙ্গাস্নান করতে গেলে ভাবতে হবে। মাঝেমধ্যেই স্বপরিবারে গঙ্গায় স্নান করতাম। এবার তো ভয় ধরে গেল।'
পিন্টু বাবুর মতো অনেকেই একমত। এদিকে খবর পেয়ে শ্রীরামপুর পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অনুজ ব্যানার্জি ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বনদফতরের লোকজনকে খবর দেন। বনদফতরের কর্মীরা মৃত কুমিরটিকে ময়নাতদন্তের জন্য গড়চুমুকে নিয়ে যায়। ঠিক কী কারণে সেই কুমির মারা গিয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় বন দফতর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখনটেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন