মৃত ঘোষণার পর নড়ে উঠল দেহ। শ্মশান থেকে দেহ নিয়ে আসা হল হাসপাতালে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘন্টা তিনেক চিকিৎসার পর মৃত্যু হল মহিলার। আর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে মারধরের অভিযোগ উঠল মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। ঘটনার জেরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন, ‘‘এমার্জেন্সি ব্রেক ব্যবহার করেও সময়মতো থামাতে পারিনি, পাথর ছোড়া শুরুর পর ট্রেন চালিয়ে দিয়েছি’’
শনিবার সকাল ৮.৩০ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লীর বাসিন্দা শ্যামলা গোস্বামী(৬৩)। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। সূত্রের খবর, সেইসময় জরুরী বিভাগে চিকিৎসক ছিলেন উত্তম কাঞ্জি। তিনিই ওই মহিলাকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ এরপর পরিবারের লোকেরা মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যায়। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। অভিযোগ, যাবতীয় কাজ সারার পর মৃতদেহ চুল্লিতে তোলার আগেই বার কয়েক কেঁপে ওঠে।
প্রথমে সকলে অবাক হলেও প্রাথমিক ঘোর কাটিয়ে তড়িঘড়ি শ্যামলা দেবীকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে আসেন পরিজনেরা। শুরু হয় মৃতদেহের চিকিৎসা। ঘন্টা তিনেক চিকিৎসা করা হয়। ফের সেই চিকিৎসকই তাঁকে মৃত বলেই ঘোষণা করেন।এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মৃতেরপরিবার, প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপরে চড়াও হন মৃতের আত্মীয়,পরিজনেরা। বেধড়ক মারধর করা হয় চিকিৎসককে। কোনমতে হাসপাতালের কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা চিকিৎসককে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর দুপুর দুটো নাগাদ মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে চলে আসে পরিবার।দুপুর আড়াইটে নাগাদ মৃতদেহ দাহের কাজ শুরু হয়।
মৃতের আত্মীয় রাজু দাস জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসতেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেছিল। পরে দেখলাম দেহ নড়ছে। প্রথমবার সঠিক চিকিৎসা হলে শ্যামলা গোস্বামী বেচে যেতেন।
যদিও এই ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।