স্বচ্ছ ভারত অভিযানে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন চার পুরকর্মী। যেমন তেমন ছবি নয়, মহিলারা প্রকাশ্যে মলত্যাগ করছেন, সে ছবিই তুলতে গেলে বাধা দেন ৫৩ বছর বয়সী জাফর হুসেন। আর এ নিয়েই পুরকর্মীদের সঙ্গে তাঁর বিতণ্ডা বাধে। ঘটনার পরই মৃত্যু হয় জাফর হুসেন নামে ওই প্রৌঢ়ের। এ ঘটনার জেরে অবশেষে ওই চার পুরকর্মীকে ক্লিনচিট দিল পুলিশ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই জাফরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল পুলিশ। আদালতে এ ঘটনার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে গিয়ে একথাই উল্লেখ করেছে পুলিশ।
গত বছরের ১৬ জুন মৃত্যু হয় রাজস্থানের প্রতাপগড়ের জাফর হুসেনের। জাফরের মৃত্যুর জন্য পুরকর্মীরা দায়ী বলে অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ওই চার পুরকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলাতেই এবার প্রতাপগড় পুলিশ জানিয়ে দিল, যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে জাফরের।
আরও পড়ুন, পেশাগত শত্রুতার জেরেই খুন এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তা
এ প্রসঙ্গে, প্রতাপগড় পুলিশের স্টেশন হাউস অফিসার বাবুলাল মুরারিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "তদন্ত শেষ হয়েছে এই মর্মে, একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই জাফরের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।" অন্যদিকে, সিপিআই(এমএল)-এর সদস্য জাফরের বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সে প্রসঙ্গে প্রতাপগড়ের পুলিশ সুপার শিবরাজ মিনা জানান যে, জাফরের বিরুদ্ধে কোনও চার্জ গঠন করা হয়নি। জাফরকে পুরকর্মীরা হেনস্থা করেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পুরকর্মীরা।
সেসময় জাফরের মৃত্যু নিয়ে হইচই পড়ে যায় রাজস্থানে। বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করছে বলেও অভিযোগ উঠতে থাকে। শেষমেশ অভিযুক্তদের ছাড় দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা আরও একবার প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।