Advertisment

মহামারী শুরুর বছরেই দেশে মৃত্যু বেড়েছে আগের তুলনায় ৬ গুণ, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সরকারি তথ্য অনুসারে ২০২০ সালে কোভিডের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৪৯ লক্ষ মানুষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশের কোভিডকালীন সময়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে আগের বছরের থেকে প্রায় প্রায় ৬গুন।

দেশের কোভিডকালীন সময়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে আগের বছরের থেকে প্রায় প্রায় ৬গুণ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ২০২০সালে দেশে মোট ৮১.১৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন তথ্যে এমনটাই বলা হয়েছে। যা আগের বছরের সংখ্যার তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি।

Advertisment

সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (CRS) থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে যে ২০২০ সালে নিবন্ধিত জন্মের সংখ্যা ২.৪৮ কোটি থেকে কমে ২.৪২ কোটিতে দাঁড়িয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২০১৯ সালে রেকর্ড করা ৭৬.৪১ লাখ থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ৮১.১৬ লাখে পৌঁছেছে।

সরকারি তথ্য অনুসারে ২০২০ সালে কোভিডের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৪৯ লক্ষ মানুষ। মোট মৃতের সংখ্যা ৫.২৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা সরকারি তথ্যের প্রায় ১০ গুন বেশি হতে পারে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল একটি সমীক্ষায়৷

বহু বিশেষজ্ঞই মনে করেন যে ভারত সরকার করোনায় মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে বলছে জনগণকে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৪ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন মারণ ভাইরাসে। এই সংখ্যাটা মোটেও সত্যকে প্রতিফলিত করে না। বিশেষজ্ঞদের এই বক্তব্যকে সত্যি প্রমাণ করল সমীক্ষাটিও। রিপোর্ট অনুযায়ী, সত্যিকারের মৃত এবং নথিভুক্তের পার্থক্য ৩০ লক্ষ থেকে ৪৭ লক্ষের কাছাকাছি।

আরও পড়ুন: মামলা প্রত্যাহার না হলে বনধ ডেকে রাজ্য ‘অচল’ করার হুঁশিয়ারি বিধায়কের

এদিকে এই বিষয়ে কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পল জানিয়েছেন, “সি আর এস ডেটা একটি ইঙ্গিত দেয় যে ২০২০ সালে দেশে কোভিডে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত সরকারী পরিসংখ্যান থেকে খুব বেশি আলাদা ছিল না। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে নিবন্ধিত মৃত্যুর বৃদ্ধি হতে পারে”।

সেই সঙ্গে তিনি বলেন “২০২০ সালে মৃত্যুর যে সংখ্যা সামনে এসেছে তা সবটাই করোনা ভাইরাসের কারণে নয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, ২ বছরের মধ্যে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১.৬ কোটি বৃদ্ধি পেয়েছেন তাই সেই অনুপাতে মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক এবং এখন জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন তুলনামূলক অনেক সহজ হয়েছে তাই ডেথ রেজিস্ট্রেশনের প্রবণতা বাড়ছে”।

Advertisment