১৯৬০ সাল থেকেই মদ নিষিদ্ধ গুজরাতে। মদ তৈরি ও বিক্রি সবেতেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে। এহেন গুজারাতেই বিষ মদে মৃত্যু মিছিল। এখনও পর্যন্ত বিষ মদ পান করে গুজরাতের বোটাদ জেলায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আওর ৫১ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, সোমবার সকালে প্রথম এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। রোজিদ এবং আশেপাশের এলাকার একের পর এক ব্যক্তি শারীরিক সমস্যা নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হতে শুরু করেন।
নামেই ড্রাই স্টেট। গ্যাঁটের কড়ি খরচ করলেই মহূর্তে এসে যায় মদ। গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় চোরা-গোপ্তা ভাবে দিনের পর দিন ধরে মদের কারবার চলে বলে অভিযোগ। গোটা রাজ্যে মদ তৈরি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের একাংশের মদতেই মোদী-রাজ্যে বেআইনি এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুজরাত পুলিশের ডিজি আশিস ভাটিয়া জানিয়েছেন, বিষাক্ত মিথাইল অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি মদ পান করেই বিপত্তি ঘটে।
আরও পড়ুন- লখিমপুর খেরি মামালা: মন্ত্রী-পুত্র আশিস মিশ্রের জামিন বাতিল
তিনি বলেন, ''মৃতদের আধিকাংশই বোটাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ৬ জন পার্শ্ববর্তী আহমেদাবাদ জেলার বাসিন্দা।'' প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে বিষমদে মৃত্যু নিয়ে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৪ জনের বিরুদ্ধে খুন এবং অন্যান্য অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের অধিকাংশকেই আটক করা হয়েছে। গুজরাত অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (ATS) এবং আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, মোদী-রাজ্যে বিষমদে এই মৃত্যু মিছিল নিয়ে সুর চড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই মুহূর্তে তিনি গুজরাতেই রয়েছেন। কেজরির অভিযোগ, ''নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গুজরাতের অনেক জায়গায় অবৈধভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে।'' কেজরিওয়াল ভাবনগরের একটি হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছেন। ওই হাসপাতালেও মদ্যপানের জেরে বেশ কয়েকজন অসুস্থ ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন।