ভয়াবহ পরিস্থিতি বন্যাকবলিত বিহারের। গত আটচল্লিশ ঘন্টার বৃষ্টিতে ডুবল বিহারের তিন জেলা। বন্যার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ২৯। ভয়ঙ্কর এই বন্যায় ডুবেছে বিহারের রাজধানী পাটনা শহরও। টানা বৃষ্টির জেরে সোমবার প্রায় ছয় ফুট জলের নীচে চলে গিয়েছে রাজধানী পাটনা। পরিস্থিতি এমনই যে এদিন পাটনার বাড়িতে আটকে পড়েছেন রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী। সোমবার জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করেছেন।
রাজ্যের আধিকারিকদের কথায়, ১৯৭৫ সালের পর বিহার একরকম ভয়াবহ বন্যা দেখেনি। বিহার সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণকার্য চালানোর জন্য ইতিমধ্যে বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে শুকনো খাবারের প্যাকেট, ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্যে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পাটনায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ।
কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফে বিহারের বেশ কয়েকটি গ্রামে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে, জল ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ হতে চলছে পাটনার নালন্দা মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল। এমনকি পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেল এবং বিমান পরিষেবাও। বন্যার কারণে বেশ কিছু ট্রেনকে অন্য রুটে ঘুরিয়েও দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে বন্যাকবলিত এলাকাগুলির আধিকারিরদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় বসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডিজি এস এন প্রধান এদিন বলেন, "মনে হচ্ছে, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে এখানে। ক্রমশই জটিল হয়ে পড়ছে উদ্ধারকাজ। জলমগ্ন হয়ে পড়ায় উদ্ধারকাজ আরও ব্যাহত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।"
Read the full story in English