Delhi Court Shootout: ১৮টি গুলি বিঁধে নিহত গ্যাংস্টার গোগী। পাল্টা পুলিশের গুলিতে নিহত দুই আততায়ীর শরীরে ২২টি গুলি পাওয়া গিয়েছে। রোহিণী আদালত-কাণ্ডের প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ভরা এজলাসেই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর হামলার মুখে পড়ে প্রাণ হারায় কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোগী ওরফে মান সিং। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তার দীর্ঘদিনের শত্রু তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল। সেই দিন পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে গোগী খুনে অভিযুক্ত দুই আততায়ী।
তিন জনের প্রাথমিক ময়না তদন্তেই বুলেটবিদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। গোগীর দেহে ১৮টি গুলি বিঁধে রয়েছে। পাশাপাশি দুই আততায়ী রাহুল ত্যাগীর দেহে ১৯টি গুলি এবং জগদীপের দেহে ৩টি গুলি বিঁধে থাকার প্রমাণ মিলেছে। এদিকে, রোহিণী কোর্টে হামলা-কাণ্ডে বুধবার দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়ে মূল অভিযুক্ত সুনীল। মান্ডোলি জেলে গিয়ে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তিল্লু ওরফে সুনীল। কোনও ধরনের খুনের চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত নয় সে। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে সুনীল। তবে আগামি দিনে কোর্টের নির্দেশেই তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। সংবাদমাধ্যমকে জানান দিল্লি পুলিশের এক কর্তা।
এদিকে, গত শুক্রবার গ্যাংওয়ারের সাক্ষী থাকল দিল্লির রোহিণী আদালত চত্বর। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুই আততায়ীর গুলিতে মৃত দাগী মাফিয়া জিতেন্দর মান ওরফে গোগী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলার এই ঘটনার নেপথ্যে জেলবন্দি মাফিয়া সুনীল অরফে তিল্লু তাজপুরিয়া। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গোগীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে নিহত দুই আততায়ী। আইনজীবীর পোশাকে আদালতের ২০১ নম্বর রুমে ঢুকে ভরা এজলাসেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল অভিযুক্তরা।
সেই সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বিচারকও। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় গোগী-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক শিক্ষানবীশ আইনজীবী পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। স্বভাবতই আদালতের মতো হাইপ্রোফাইল জোনে এই গুলি চালনার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন