WHO-এর জরুরি ব্যবহার তালিকা বা এমারজেন্সি ইউজ লিস্টে কোভ্যাকসিনের জায়গা পাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। শনিবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য গবেষক সৌম্যা স্বামীনাথন। এক ওয়েবিনারে তিনি বলেছেন, ‘আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যেই কোভ্যাকসিনের ভাগ্য চূড়ান্ত হয়ে যাবে। WHO সিদ্ধান্ত নেবে ভারত বায়োটেকের এই টিকাকে জরুরি ব্যবহারের তালিকাভুক্ত করবে কিনা।‘
ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেক এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের নথি হুয়ের পোর্টালে জমা দিয়েছে। সেই নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন সৌম্যা। জনস্বাস্থ্যে বিপর্যয় দেখা দিলে নতুন কিংবা অনথিভুক্ত কোনও পণ্য জরুরিভিত্তিতে ব্যবহার করা যায় কিনা, সেটা খতিয়ে দেখে এই জরুরি ব্যবহার তালিকা তৈরি করে হু।
এদিকে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ সামলে পর্যটনে ছাড় দেওয়া শুরু করেছে একাধিক দেশ। পাল্লা দিয়ে চলেছে গণটিকাকরণ। এই আবহে শুধু টিকা প্রাপকদেরই পর্যটক হিসেবে ঢুকতে দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দ্বীপরাষ্ট্র। করোনা পরীক্ষার বদলে টিকার শংসাপত্র ব্যাগে নিয়েই ঘোরা যাচ্ছে বিদেশ। কিন্তু বিশ্ব পর্যটনের এহেন বিধিতে আপত্তি জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘টিকাকরণের ভিত্তিতে নয়, বরং করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেই আন্তর্জাতিক পর্যটনে ছাড়পত্র দেওয়া উচিত।‘ রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পরে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমান ধরার আগে ও গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে যাত্রীর কোভিড পরীক্ষাই যথেষ্ট। কিন্তু কিছু দেশ টিকাকরণের শংসাপত্রের বিষয় নিয়ে এসেছে। তাই আমাদের আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে আসতে হবে। আমরা যাতে কাউকে অবহেলা না করি। নাগরিকদের বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি না করি। সে দিকে নজর রাখতে হবে।‘ জয়শঙ্করের মন্তব্যে সম্মতি জানিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। ল্যাভরভ বলেন, ‘করোনা টিকাকরণের শংসাপত্র ছাড়া কী ভাবে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্ভব? সেই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত আমরা। আশা করছি একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছতে পারব। অন্যান্য দেশের কাছে এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন