Advertisment

তীব্র দাবদাহে স্কুল বন্ধের আবেদন দিল্লি প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের

তীব্র গরমে স্কুলে যেতে কাহিল হয়ে পড়ছে বাচ্চারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
summer vacation in WB

বাড়ছে গরমের ছুটি?

তীব্র গরমে কাহিল রাজধানী দিল্লি। করোনা আবহে দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর খুলেছে স্কুল। শুরু হয়েছে অফলাইন মোডে ক্লাস। প্রবল গরমের মাঝে ফের একবার দিল্লিতে স্কুল বন্ধ রাখার অনুরোধ দিল্লি প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের।

Advertisment

এই মর্মে ডিপিএ’র তরফে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এবং জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে।

কেন এই দাবি? এই মর্মে দিল্লি প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির বেশ কিছু অংশে পারদ ছুঁয়েছে ৪৫ থেকে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে স্কুলে যেতে কাহিল হয়ে পড়ছে বাচ্চারা। গরমের কারণে অনেকেরই নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকরা চিন্তায় রয়েছেন তাই এই গরমে স্কুল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে স্কুল বন্ধের দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এবং জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনকে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “দিল্লিতে মারাত্মক গরমের কারণে আমরা অবিলম্বে স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এবং স্কুলে শিশুদের উপস্থিতি কমছে,"।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যার কবলে অসম, গৃহহীন ৪ লক্ষ পরিবার, সাহায্যের আশ্বাস কেন্দ্রের

প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অপরাজিতা গৌতম এক সাক্ষাৎকারে বলেন "৭২ বছর পরে দিল্লিতে তীব্র গরম পড়েছে। দিল্লির অনেক এলাকায় তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছু সুরক্ষা বিধি এবং পরামর্শও জারি করা হয়েছিল। এমনকি প্রতিবেশী রাজ্যগুলিও স্কুলের সময়ও  পরিবর্তন করেছে, শিশুরা প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে”।

চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে যে দিল্লি সরকার এব্যাপারে এখনও কোনও পদক্ষেপ  গ্রহণ করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে বাচ্চাদের বাইরে বের হওয়া নিরাপদ নয়। তা সত্ত্বেও তীব্র গরমে স্কুল খোলা রয়েছে।

পাশাপাশি গৌতম বলেন "আমরা এত দিন ধরে দেখছি যে ক্রমবর্ধমান গরমের কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ক্রমাগত কমছে। তাই অবিলম্বে স্কুলগুলি বন্ধের আহ্বান করছি”।

delhi Heat Wave school
Advertisment