পাঁচ বছর আগে বিদেশি ঘোষণা করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে ফের অসমের শিলচর জেলায় ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালই আবার তাঁকে ভারতের নাগরিক হিসাবে মেনে রায় দিল। গৌহাটি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে মহিলাকে ভারতীয় মানতে বাধ্য হল ট্রাইব্যুনাল।
গত ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কাছার দেলার সোনাইয়ের ২৩ বছরের তরুণী শেফালি রানি দাসকে বিদেশি তকমা দিয়েছিল। এর পর হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন শেফালি। ২০২১ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত করে তাঁকে আরও একবার নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ দেয়। গত মঙ্গলবার শিলচর ট্রাইব্যুনালে ফের মামলার শুনানি হয়। এবং এবার তাঁকে ভারতীয় নাগরিক মেনে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, তিনি ভারতের মাটিতে নিজের পিতামহের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের পর থেকে ভারতে থাকার তাঁর বাবার এবং তাঁর প্রমাণ পত্র দিতে পেরেছেন। আইনত তিনি ভারতীয়। উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে শেফালি গৌহাটি হাইকোর্টে নিজের হলফনামায় জানান, তাঁর তরফ থেকে ট্রাইব্যুনালে কোনও গাফিলতি হয়নি। তিনি তাঁর আইনজীবীর কাছ থেকে কোনও উপযুক্ত পরামর্শ পাননি। আইনি বিষয় নিয়ে তাঁর জ্ঞান কম তাই তিনি শুনানির দিন গরহাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন দুর্ভাগ্য, ২৫ বছর বিজেপিকে লালন করেছি: উদ্ধব ঠাকরে
ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল অনুযায়ী, শুনানির দিন অনুপস্থিত ছিলেন শেফালি। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি শুনানিতে গরহাজির থাকায় তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করা হয়। শেফালির বর্তমান আইনজীবী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, তাঁর আগের আইনজীবী আইনি বিষয়ে তাঁর মক্কেলকে কিছু জানাননি। গরিব পরিবারের মেয়ে শেফালি। স্বামী শিক্ষকতা করতেন, কিন্তু বর্তমানে কর্মহীন। অনেক আইনি বিষয় তাঁরা বোঝেন না। তাই এই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
শেফালি হাইকোর্টে জানান, তাঁর পিতামহ দুবরাব্রম দাস ১৯৫০ সালে ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসেন বাংলাদেশ থেকে। শিলচর থানা এলাকার ছোট দুধপাতিলে থাকতে শুরু করেন। এরপর শোনাইয়ের মোহনকাল এলাকায় চলে যান তিনি। সেখানে জমিবাড়ি করে থাকতে শুরু করেন।