প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিত হিংসার ঘটনায় আগেই পুলিশ খুঁজছে তাঁকে। এবার সংসদেও বিতর্কের শিরোনামে পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু। বিজেপি সাংসদ সানি দেওল ঘনিষ্ঠ অভিনেতার খোঁজ দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে দিল্লি পুলিশ। সেদিনের ঘটনায় উস্কানি দেওয়ার নেপথ্য মূল অভিযুক্ত তিনি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে সরাসরি তাঁর সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ তুললেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং।
এদিন সংসদে তিনি বলেন, "দীপ সিধু বিজেপির লোক। সেদিন বিজেপি কর্মীদের নিয়ে সে লালকেল্লায় তাণ্ডব চালায়, জাতীয় পতাকার অবমাননা করে। কৃষকরা সেদিন সাতটি রুটে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করে। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের নিয়ে লালকেল্লায় তাণ্ডব চালায় দীপ সিধু। ওর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যোগ রয়েছে। রাজনীতির জন্য এরা এনেক নিচে নামতে পারে। ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভস্থলে। একমাত্র দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের সমর্থন করছেন। আমরা আগেও সমর্থন করেছি, ভবিষ্যতেও করব। আগে স্টেডিয়ামকে জেল বানাতে বলেছিল কেন্দ্র, আমরা করিনি, এবার আমরা জল-শৌচাগারের ব্যবস্থা করছি, তখন আমাদের আটকানো হচ্ছে।"
আরও পড়ুন কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা, গাজিপুরে সৌগতদের আটকাল পুলিশ
আর আগে রাজ্যসভায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অস্বীকার করছে কেন্দ্র। বাজেটে সেস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা অতিমারীর দোহাই দিয়ে সাংসদ তহবিলের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে এবং কৃষি আইন বাতিলের বিল আনতে হবে সংসদে। কেন্দ্রকে তাঁর তোপ, "সরকার সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে। আগে দিল্লি সামলান তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন। দিল্লির মতো কৃষক আন্দোলন বাংলায় হলে এতক্ষণে তো হইচই ফেলে দিতেন। দিল্লিতে কৃষক মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।"