কনকনে ঠান্ডা। সবেমাত্র শেষ হয়েছে কানহাইয়া কুমারের বক্তৃতা। কিন্তু, জেএনইউ তখনও মুখরিত 'আজাদি' স্লোগানে। তারই মধ্যে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির বলিউড ডিভা দীপিকা পাড়ুকোন। জেএনইউএসইউ-এর সভাপতি ঐশী ঘোষ-সহ গত রবিবার হামলার ঘটনায় আহত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করলেন দীপিকা। পড়ুয়াদের ভাল থাকতে বলার পাশাপাশি জানাতে ভুললেন না, ঐশীর নেতৃত্বে 'গর্বিত' তিনি।
Advertisment
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও অশান্তির আবহ। এর আগেও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন বলিউড তারকাদের একাংশ। জেএনইউ কাণ্ডের পর মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে জড়ো হয়ে স্লোগানও দেন তারকারা। তালিকায় ছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ, রিচা চাড্ডা, তাপসী পান্নু, বিশাল ভরদ্বাজ, অনুভব সিনহা, জোয়া আখতার, দিয়া মির্জা, রাহুল বোসরা। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন দীপিকা।
ঐশী ঘোষের সঙ্গে দীপিকা
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জেএনইউ-য়ের পূর্বদিকের গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন দীপিকা। ঐশীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই ছিলেন তিনি। পড়ুয়াদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেই অভিনেত্রীর জেএনইউতে যাওয়া বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বাম ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী ঐশী তাঁকে রবিবারের ঘটনার বিবরণ দেন। যা শুনে রীতিমত স্তম্ভিত 'ছাপাক' ছবির অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর জেএনইউতে আসাকে কেন্দ্র করে টুইট করে সিপিআইএম। সেখানে জানানো হয়, "জনবিরোধী, জাতীয়তাবাদ-বিরোধী ঘৃণার মত কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ থেকে সংবিধানকে বাঁচাতে দেশের পড়ুয়ারা নিরন্তর লড়াই চালাচ্ছেন। সাহসী এইসব পড়ুয়াদের পাশে থাকার জন্য দীপিকা পাড়ুকোনকে বিশেষ ধন্যবাদ।" অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু বিশিষ্টরাও টুইট করেন।
গত রবিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালায় মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা। এতেই জখম হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সহ বহু পড়ুয়া। হামলার জন্য দায়ী করা হয় আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপিকে। ঐশী ঘোষের মাথায় ১৬টি সেলাই পড়ে। সোমবার অবশ্য ক্যাম্পাসে ফিরেই স্বমেজাজে তিনি। লড়াই জারি রাখার ডাক দিয়ে রবিবারের ঘটনাকে 'পরিকল্পিত হামলা' বলে অভিযোগ করেন ঐশী।