উত্তরাখণ্ডের তুষারধস বিপর্যয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ট্যুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ে প্রাণহানির খবরে আমি ব্যথিত। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আমি সমব্যথী। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।' এদিকে, এই বিপর্যয়কে তুষারধস বলতে নারাজ বসন্ত সিংহ রায়। এভারেষ্টজয়ী এই পর্বতারোহী বলেছেন, 'এটা ভূমিধস। আর ধৌলিগঙ্গার পথ আটকে এই বিপর্যয় ডেকে আনা হয়েছে।' তিনি মনে করেন, 'ধৌলিগঙ্গার পথ আটকে যাওয়ায় জল জমতে শুরু করে। সেই বিপুল জলরাশি এখন গিরিখাত বেয়ে নেমে আসছে। এই ধস যত নিচের দিকে নামবে, তত গতি লোপ পাবে।'
তাঁর আশ্বাস, 'যতটা ক্ষয়ক্ষতি ওপরের দিকে হয়েছে। কারণ হরপা বাণের মতো এই ভূমি ধস হঠাৎ এসে পড়ায় ওপরের দিকে যারা ছিলেন, তারা নিরাপদে সরার সময় পায়নি। কিন্তু নীচের দিকে যাঁরা ছিলেন তাঁরা সময় পেয়ে পাহাড়ের উপরে উঠে নিজেদের নিরাপদ করেছে।'
পাশাপাশি ভূতত্ত্ববিদদের মত, পাহাড় বরফ জমে জমে চাই তৈরি হয়। এদিকে উত্তরাখণ্ডের মতো নদীমাতৃক রাজ্যে গতি পরিবর্তনের চেষ্টা করে নদীগুলো। বিশেষ করে হিমালয় থেকে যাদের উৎপত্তি। এভাবে গতি পরিবর্তনের ফলে ধাক্কা লাগে পর্বতের গায়ে। তখনই ভার বইতে না পেরে ওই চাঁই ধসে পড়ে। পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, পাহাড় কেটে রাস্তা, টানেল ও পর্যটকবান্ধব আবাসন এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হওয়ায় কম্পন তৈরি হয়। কমে পাহাড়ের ধারণ ক্ষমতা। তাতেও এই বিপত্তি বাধার সম্ভাবনা।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার অলকানন্দ নদীর উপর হিমবাহ ভেঙে যাওয়ায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফিরল ৮ বছর আগের কেদারনাথের ভয়াবহ স্মৃতি। ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে তুষারধস। নিখোঁজ প্রায় দেড়শো জন, জানাল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।এদিকে, ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে। ধৌলিগঙ্গা এলাকায় রেনি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজের জন্য শ'খানেক ITBP জওয়ানদের ঘটনাস্থলে।