গাজায় শতাধিক মানষকে হত্যার ঘটনায় গর্জে উঠল ভারত। এই ধরণের ঘটনাকে 'মর্মান্তিক' বলে উল্লেখ বিদেশমন্ত্রকের।
চলছে ইজরায়েল হামাস যুদ্ধ। যার বলি হচ্ছেন হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনার বারে বারে নিন্দা জানিয়েছে ভারত। এবার গাজা শহরে ত্রাণ সামগ্রীর অপেক্ষায় থাকা সাধারণ প্যালেস্তাইনিদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনকে মর্মান্তিক বলেই উল্লেখ করল বিদেশ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবারের এই অতর্কিত হামলায় শতাধিক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়।
গাজায় ত্রাণ সামগ্রীর অপেক্ষায় থাকা শতাধিক মানুষের উপর হামলা এবং তাদের নিহত হওয়ার ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার বলেছে যে মানবিক সাহায্য বিতরণের সময় উত্তর গাজায় সাধারণ মানুষের উপর হামলা এবং মৃত্যুর ঘটনায় ভারত গভীর মর্মাহত।
ভারত গাজার জনগণকে নিরাপদ ও সময়মতো মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে 'আমরা আবারও নিরাপদে এবং সময়মতো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের আহ্বান জানাচ্ছি'। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
গত অক্টোবরে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় সাধারণ নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় বারে বারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এর আগে এক ভাষণে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘যুদ্ধে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে ইজরায়েলের আগে থেকেই সচেতন হওয়া উচিত ছিল’। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দায় বর্তায় ইজরায়েলের উপরও। কোন ভাবেই ইজরায়েল সেই আইন লঙ্ঘন করতে পারে না’।
প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত দীর্ঘদিন ধরে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাস করে। আমরা বহু দশক ধরে সেই অবস্থান বজায় রেখেছি এবং আমি মনে করি আজ বিশ্বের আরও অনেক দেশ উপলব্ধি করছে যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান কেবল প্রয়োজনীয় নয়, এটি আগের চেয়ে আরও প্রয়োজন বর্তমান পরিস্থিতিতে’।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইজরাইল তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। হামাস ইজরায়েলের প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল। এছাড়া ২২০ জনকে বন্দি করে। একই সময়ে, হামাস পরিচালিত গাজার কর্মকর্তাদের মতে, ইজরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় পঁচিশ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার অধিকাংশ মহিলা ও শিশু।