'বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত',কাতারে ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন সেনাকে মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্তের ঘটনায় মুখ খুলল বিদেশ মন্ত্রক। কাতারের আদালত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় নৌবাহিনীর ৮ সেনা কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে 'আমরা মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্তে বিস্মিত এবং আমরা বিস্তারিত সিদ্ধান্তের প্রতিলিপির জন্য অপেক্ষা করছি'। পাশাপাশি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে প্রাক্তন আট নৈ-সেনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি সব ধরণের এবং আইনি সুবিধা প্রদানের বিষয়েও আলোচনা করছে বিদেশমন্ত্রক। একই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, "আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি এবং বিষয়টির প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে গভীর নজর রাখা হচ্ছে"।
কাতারের একটি আদালত ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট, কাতার কর্তৃপক্ষ তাঁদের গ্রেফতার করেছিল। তখন থেকে ওই আধিকারিকরা ছিলেন নির্জন কারাবাসে। চলতি বছরের ২৯ মার্চ তাঁদের বিচার শুরু হয়। বিদেশ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এই ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ে গভীরভাবে মর্মাহত। বিশদ রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে।’ মন্ত্রক আরও বলেছে যে এটি, ‘সমস্ত আইনি বিকল্প খুঁজে দেখছে।’ কাতারে প্রবীণ নৌ আধিকারিকদের দীর্ঘ হেফাজতে থাকার কারণ এবং মৃত্যুদণ্ড প্রদানের কারণগুলো বিস্তারিত বলা নেই। প্রবীণদের পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। এই মামলা ভারত সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
আটজন প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক- ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। তাঁরা আল দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালট্যান্সিতে কাজ করছিলেন। এই সংস্থা একটি প্রতিরক্ষা সেবা প্রদানকারী কোম্পানি। কোম্পানির মালিক একজন ওমানি নাগরিক। নাম, খামিস আল-আজমি। তিনি রয়্যাল ওমান এয়ার ফোর্সের অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার। এই লোকটিকে আট ভারতীয়র সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে, ওই ব্যক্তিকে ২০২২ সালের নভেম্বরে মুক্তি দেওয়া হয়।
কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা স্টেট সিকিউরিটি ব্যুরো তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ভারতীয় দূতাবাস প্রথম গ্রেফতারের কথা জানতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ধৃতদের তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ‘সংক্ষিপ্ত টেলিফোনিক যোগাযোগ’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ, ভারতীয় দূতাবাসের একজন আধিকারিক ওই বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন হেফাজতে নেওয়ার একমাসেরও বেশি সময় পরে ৩ অক্টোবর। অন্তত পরের কয়েক মাসের জন্য, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাপ্তাহিক ফোন কল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো কখনই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে, তাঁদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কাতার কর্তৃপক্ষের দাবি, নিরাপত্তা-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে।
কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা স্টেট সিকিউরিটি ব্যুরো তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ভারতীয় দূতাবাস প্রথম গ্রেফতারের কথা জানতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ধৃতদের তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ‘সংক্ষিপ্ত টেলিফোনিক যোগাযোগ’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ, ভারতীয় দূতাবাসের একজন আধিকারিক ওই বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন হেফাজতে নেওয়ার একমাসেরও বেশি সময় পরে ৩ অক্টোবর। অন্তত পরের কয়েক মাসের জন্য, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাপ্তাহিক ফোন কল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো কখনই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে, তাঁদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কাতার কর্তৃপক্ষের দাবি, নিরাপত্তা-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর কাতার সফরের পর থেকে এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেটাই ছিল কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কাতার সফর। পরবর্তীতে সেই সম্পর্ক আরও ভালো হয়েছে। কাতারের আমির, শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, ২০১৫ সালে ভারত সফর করেছিলেন। আবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালে কাতারে গিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর অন্তত তিনবার কাতার সফর করেছেন। প্রয়াত সুষমা স্বরাজ ২০১৮ সালে কাতার সফরকারী প্রথম ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ছিলেন। ২০২১ সালে, কাতার থেকে ভারতে বিপুল পণ্য রফতানি হয়েছে। ভারত হয়ে উঠেছে কাতারের শীর্ষ চার রফতানির গন্তব্যস্থল। শুধু তাই নয়, কাতারের আমদানির শীর্ষ তিনটি জায়গার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে ভারত।