এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন এম জে আকবর। সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি আদালতে প্রিয়া রামানি জানিয়ে দিলেন যে, তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেননি, তা ডি-অ্যাক্টিভেট করেছেন। প্রয়োজনে ফের নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করবেন বলে আদালতে জানিয়েছেন প্রিয়া।
উল্লেখ্য, টুইট করেই এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রিয়া রামানি। ফলে আকবরের মানহানির মামলায় প্রিয়ার টুইটারে কথোপকথন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যদি প্রিয়া রামানি টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করতেন, তাহলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হত বলে অভিযোগ করা হত। সে কারণেই এদিন আদালতে প্রিয়া রামানি জানান, যে তিনি ভেবেচিন্তে টুইটার অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করেননি। প্রয়োজনে ফের তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করবেন।
আরও পড়ুন: ‘ওজনদার পুলিশদের’ চিহ্নিতকরণের বিশেষ নির্দেশ রাজস্থানে
এ প্রসঙ্গে আকবরের আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে আদালতে প্রিয়া রামানি বলেন, গত এক বছরে এই মামলায় আমার রীতিমতো কালঘাম অবস্থা। প্রতি মাসে আমায় দিল্লি আসতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও তাকানোর প্রয়োজন রয়েছে আমার। টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করিনি, ডি-অ্যাক্টিভেট করেছি। অন্যদিকে, টুইটারের মতো ফেসবুক অ্যাকাউন্টও প্রিয়া ডি-অ্যাক্টিভেট করেছেন কিনা জানতে চান আকবরের আইনজীবী। এ প্রেক্ষিতে প্রিয়া বলেন, ‘‘না, ফেসবুকে আমার ৭০০ বন্ধু রয়েছেন’’।
প্রসঙ্গত, এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। যে অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। এ অভিযোগের পর বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আকবর। পরে, মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন এম জে আকবর।
Read the full story in English