Advertisment

‘একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন রাষ্ট্র!’, নাম না করে পড়শি চিনকে কড়া বার্তা রাজনাথের

Indo-China Relations: রবিবার ভারতীয় নৌ সেনার সদস্য হল আইএনএস বিশাখাপত্তনম।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
‘India-Pak ceasefire only successful because of our strength,’ says Rajnath Singh

Indo-China Relations: রবিবার ভারতীয় নৌ সেনার সদস্য হল আইএনএস বিশাখাপত্তনম। সেই অনুষ্ঠানের উপস্থিত হয়ে নাম না করে চিনকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নিশানার মুখে চিনের সাম্প্রতিক সামুদ্রিক আইন। রাজনাথের কটাক্ষ, ‘কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন রাষ্ট্র সঙ্কীর্ণ স্বার্থে ক্রমাগত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমুদ্র নীতি লঙ্ঘন করে চলেছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের। কিছু রাষ্ট্র নিজদের মতো করে সমুদ্র নীতির সংজ্ঞা বদলে রাষ্ট্র নীতির জলনীতিকে দুর্বল করে চলেছে।‘

Advertisment

জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের নতুন সমুদ্র নীতিতে বলা, চিনের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলভাগে বিদেশী নৌ বহরের প্রবেশ নজরদারির মধ্যে থাকবে। প্রয়োজনে সেই নৌ বহরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বেজিং। সামরিক এবং বানিজ্যিক—দুই ধরনের নৌ বহরের প্রবেশেই এই নীতি কার্যকর। এখানেই আপত্তি নয়া দিল্লির। তাদের দাবি, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের জল নীতিতে বলা, ‘উপকূলবর্তী কোনও রাষ্ট্র, বিদেশী নৌ বহরকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারবে না। যতক্ষণ সেই বিদেশী নৌ বহর সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়।‘ সেই প্রসঙ্গ তুলেই এদিন সরব হয়েছিলেন রাজনাথ সিং।  

এদিকে, পেন্টাগন সম্প্রতি ইউএস কংগ্রেসকে চিনা দখলদারি এবং আগ্রাসন নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্টে এলএসি অর্থাৎ ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর বেজিংয়ের দখলদারির প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে। পেন্টাগনের তৈরি রিপোর্টে উল্লেখ, ‘এলএসি বরাবর ধীরে ধীরে কৌশল অবলম্বন করে দাবি চাপানোর চেষ্টা করছে চিন।‘ সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এই রিপোর্টের সমালোচনায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সাপ্তাহিক প্রেস বিবৃতিতে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ভারত, তাদের ভূখণ্ডে চিনের অবৈধ দখলদারি মানে না। তাই চিন এই দাবি করলে সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।‘ তাঁর মন্তব্য, ‘বহু বছর ধরে এলএসি বরাবর নির্মাণকাজ চালাচ্ছে বেজিং। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ডে তাদের দখলদারি মানেই না দিল্লি।‘

পেন্টাগনের রিপোর্ট প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রকের এই কর্তা বলেছেন, ‘আমাদের ভূখণ্ডে চিনা উপস্থিতির আপত্তি কুটনৈতিকভাবে বেজিংকে জানানো হয়েছে। আগামি দিনেও সেই ভাবে চিনকে অবগত করা হবে।‘ তাঁর দাবি, ‘এলএসি বরাবর ভারত নির্মাণকাজ শুরু করেছে। তৈরি হচ্ছে সেতু, সড়ক। এই পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সীমান্তের নাগরিকদের যোগাযোগ আরও বাড়বে।‘

পাশাপাশি চিনকে মোকাবিলায় কোনও রণকৌশল নেই মোদি সরকারের। ইন্দো-চিন সীমান্ত সমস্যায় চলতি মাসেই এই খোঁচা দিলেন রাহুল গান্ধি। সাম্প্রতিক পেন্টাগন রিপোর্টে বেজিংয়ের আগ্রাসন নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বিদেশ মন্ত্রক সেই রিপোর্টের সমালোচনায় সরব। এমনকি, চিনের দখলদারি প্রসঙ্গে সিডিএস (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ) এবং বিদেশ মন্ত্রকের অবস্থান ভিন্ন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন উল্লেখ করে এই অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধি।

সেই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস সাংসদের ট্যুইট, ‘চিনের মোকাবিলায় ভারত সরকারের কাছে কোনও কৌশল নেই। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। মিস্টার ৫৬ ইঞ্চি ভয় পেয়েছে। উলটে আমাদের সেনাবাহিনী বুক দিয়ে আগলে সীমান্ত রক্ষা করছেন।‘  

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

rajnath singh china Maritime Law INS Visakhapattnam
Advertisment