সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদ শান্তির কাছে বড় হুমকি। নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে সন্ত্রাসবাদ-সহ মৌলবাদ। আশিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এক কনক্লেভে এই মন্তব্য করেন রাজনাথ সিং। সম্মিলিত ভাবে এই হুমকি প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। অন্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের নাম না করেই এই সম্মেলনে তোপ দাগেন তিনি। রাজনাথ সিং বলেন, 'যারা সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, অর্থ দেয় এবং সহায়তা করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।' এফএটিএফ-এর সদস্য হিসেবে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী যুদ্ধে ভারত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অবস্থান স্পষ্ট করে এদিন জানান তিনি।
এদিকে, বিশ্বের প্রথম সারির সাত শক্তিধর দেশের গোষ্ঠীকে তীব্র আক্রমণ করল চিন। শনিবার জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠক নিয়ে ড্রাগনের দেশের কটাক্ষ, বিভিন্ন দেশের ছোট গোষ্ঠী বিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করবে, সে দিন নেই। দুনিয়ার সিদ্ধান্ত তারা একা নিতে পারে না। বিশ্বের তাবড় ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলি বেজিংয়ের বিরুদ্ধে এক সুরে গাইতেই পাল্টা দিল চিন।
লন্ডনে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, যে বড় হোক ছোট, ধনী হোক দরিদ্র, শক্তিশালী বা দুর্বল, সব দেশ সমান। আর বিশ্বের যে কোনও বিষয় সব দেশ মিলে একত্রিত হয়ে আলোচনার মাধম্যে খতিয়ে দেখবে। ছোট কিছু গোষ্ঠী সারা বিশ্বের সিদ্ধান্ত নেবে, সেই দিন আর নেই। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমেরিকার সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই শেষ হয়। তারপর থেকে চিন বিশ্বে এক মহাশক্তিধর দেশ হিসাবে উঠে আসে। সাম্প্রতিক কালে ভৌগলিক-অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে চিন বিশ্বের অন্য শক্তিধর দেশগুলিকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যা বাকিদের কাছে চিন্তার বিষয়।
উল্লেখ্য, শনিবার এই বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জি-৭ গোষ্ঠীর বাকি দেশগুলিকে একজোট হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের চ্যালেঞ্জের জবাব দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, জি-৭ গোষ্ঠী চিনের ট্রিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক করিডর ও সড়ক প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ দিতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে পরিকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন