Advertisment

আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় সেনা, ১১৮টি অর্জুন Mk-1A ট্যাঙ্কের বরাত দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

এর জন্য মন্ত্রকের খরচ পড়বে ৭,৫২৩ কোটি টাকা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ১১৮টি অর্জুন ট্যাঙ্কের জন্য বরাত দিয়েছে।

শত্রুর বুকে কাঁপুনি ধরাতে ভারতীয় সেনায় জুড়ছে মহাপরাক্রমী অর্জুন এমকে-১এ ট্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ১১৮টি অর্জুন ট্যাঙ্কের জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনায় যুক্ত হবে এই ট্যাঙ্কগুলিকে। এর জন্য মন্ত্রকের খরচ পড়বে ৭,৫২৩ কোটি টাকা।

Advertisment

একটি বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মন্ত্রক হেভি ভেহিকলস ফ্যাক্টরি, আভাড়িকে (চেন্নাই) ১১৮টি ব্যাটল ট্যাঙ্ক সরবরাহ করার জন্য বরাত দিয়েছে। ভারতীয় সেনায় যুক্ত হবে এই ট্যাঙ্কগুলি। এই বরাতের জেরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী ২০০টি ভারতীয় ভেন্ডর, মাঝারি শিল্প সংস্থা লাভবান হবে। কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৮ হাজার মানুষের।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭,৫২৩ কোটি টাকার বরাতের জেরে মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র লাভবান হবে। পাশাপাশি আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণে একধাপ এগিয়ে যাবে দেশ। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অর্জুন সামরিক ট্যাঙ্ক (এমকে-১এ) ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চেন্নাইয়ে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি ১১৮টি অর্জুন ট্যাঙ্ক তুলে দেন সেনাকে। ট্যাঙ্কগুলি তৈরি করেছে সিভিআরডিই এবং ডিআরডিও। তাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ছিল ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আটটি গবেষণাগার এবং বহু ক্ষুদ্র-মাধারি শিল্পোদ্যোগ।

কী এই অর্জুন সামরিক ট্যাঙ্ক?

অর্জুন সামরিক ট্যাঙ্ক প্রকল্পটি ডিআরডিও দ্বারা ১৯৯৭ সালে কম্ব্যাট যানবাহন গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (সিভিআরডিই) এর প্রধান পরীক্ষাগার হিসাবে শুরু হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল “উন্নত অগ্নি শক্তি, উচ্চ গতিশীলতা এবং দুর্দান্ত সুরক্ষা-সহ একটি অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা”। নির্মাণের সময় সময়, সিভিআরডিই ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন, হাইড্রোপেনিউমেটিক সাসপেনশন, হাল এবং ট্যুরের পাশাপাশি বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় অগ্রগতি অর্জন করেছিল। ১৯৯৯ সালে তামিলনাড়ুর আভাড়িতে ভারতীয় অর্ডিন্য়ান্স ফ্যাক্টরিতে ব্যাপক উৎপাদন শুরু হয়েছিল।

কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই ট্যাঙ্কে?

অর্জুন ট্যাঙ্কগুলি তাদের ‘ফিন স্ট্যাবিলাইজড আর্মার পেয়ার্সিং ডিসার্ডিং সাবোট (এফএসএপিডিএস)’ গোলাবারুদ এবং ১২০ মিমি ক্যালিবার রাইফেল বন্দুকের জন্য বিখ্যাত। এটিতে একটি কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত ইন্টিগ্রেটেড ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে যা স্থির দর্শন-সহ সমস্ত রকম আলোত কাজ করে। অন্যান্য অস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে একটি সহ-অক্ষীয় -৭.৬২-মিমি মেশিনগান এবং অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট এবং স্থল লক্ষ্যগুলির জন্য একটি ১২.৭ মিমি মেশিনগান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখনও পর্যন্ত কতগুলি অর্জুন ট্যাংককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?

ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৪ সালে ১৬টি ট্যাঙ্কের প্রথম ব্যাচ পেয়েছিল এবং তাদের ৪৩ আর্মার্ড রেজিমেন্টের স্কোয়াড্রন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম অর্জুন রেজিমেন্টে ৪৫টি ট্যাঙ্ক ছিল। ২০১১ সালের মধ্যে ১০০টিরও বেশি ট্যাঙ্ক সরবরাহ করা হয়েছিল। ২০১০ সালে, ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও ১২৪টি অর্জুন ট্যাঙ্কের বরাত দেয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অর্জুন Mk-1A-এর আরও ১১৮টি ইউনিট অর্ডার করেছে। এই ইউনিটগুলি এখন ৮,৪০০ কোটি টাকা খরচে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বাহিনীতে।

Mk-1A কেন আলাদা?

Mk-1A সংস্করণটির পূর্ববর্তী সংস্করণে ১৪টি বড় আপগ্রেড রয়েছে। নকশা অনুযায়ী এটিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ক্ষমতাও রাখার কথা হয়েছে, তবে এই বৈশিষ্ট্যটি পরে যুক্ত করা হবে কারণ সক্ষমতাটির চূড়ান্ত পরীক্ষা এখনও চলছে। তবে সর্বশেষতম সংস্করণে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আগের মডেলটির ৪১ শতাংশের তুলনায় নবতম সংস্করণে ৫৪.৩ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সামগ্রী রয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Arjun MK-1A Tank Indian army
Advertisment