'অগ্নিপথ' প্রকল্প দেশের পথে-ঘাটে বিক্ষোভের আগুন জ্বেলেছে। এখনও সেই বিক্ষোভ মেটার নামগন্ধ নেই। এই পরিস্থিতিতে বারবার সেনাকর্তাদের সামনে এনেছে মোদী সরকার। সেনাকর্তারা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন 'অগ্নিপথ' প্রকল্পের সুফল। যদিও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। ফের তাই সেনাকর্তাদেরকেই সামনে এগিয়ে দিল কেন্দ্র।
সেনাকর্তাদের দিয়ে হুমকি দেওয়ানো হয়েছে, অগ্নিপথ বিক্ষোভে অংশ নিলে আর এই প্রকল্পে চুক্তির চাকরিটাও দেওয়া হবে না। কিন্তু, সেই হুমকিতেও কাজ না-হওয়ায়, এবার সেনাকর্তাদের দিয়েই বলানো হল- 'অগ্নিপথ' একটা সুচিন্তিত প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরেই সেনাবাহিনীতে সংস্কার করতে চাইছিল। বহু প্রত্যাশিত সেই সংস্কার এবার বাস্তবায়িত হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন অতিরিক্তি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরুণ পুরী।
অবশ্য এর বাইরে তিনি নতুন কিছু বলতে পারেননি। কয়েকদিন আগে সরকার যা বলেছিল, তারই পুনরাবৃত্তি করে পুরী বলেন, 'এটা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার। বর্তমানে বেশিরভাগ জওয়ানের বয়স ৩০-এর কোঠায়। সেটাই কমিয়ে আনা হল।' তবে, এসব ছেঁদো কথা আর গায়ে মাখতে নারাজ বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযোগ, 'সরকারের এই পরিকল্পনা দেশের যুবশ্রেণিকে হত্যা করবে। দেশের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করবে।' একইসঙ্গে মোদী সরকারকে 'ভন্ড দেশপ্রেমিক' বলেও অভিযোগ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। দেশের যুবশ্রেণির কাছে তিনি এই সব 'ভন্ড দেশপ্রেমিক'দের চিনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কমল দুশ্চিন্তা! চাইলে ১৬ পেরোলেই করা যাবে বিয়ে, জানাল আদালত
যাঁরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে চান, কংগ্রেস তাঁদের পাশে থাকবে বলেই জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে দিল্লির যন্তর-মন্তরে কংগ্রেস ধরনাতেও বসেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, দু'বছর সেনায় নিয়োগ করেনি মোদী সরকার। তাতেই প্রার্থীদের বয়স বেড়েছে। সেনার জওয়ানদের বয়সও ৩০-এ পৌঁছে গিয়েছে। এজন্য সরকারই দায়ী।
দীর্ঘদিন চুপ ছিলেন। কিন্তু, এবার সময় বুঝে মুখ খুলেছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীও। তাঁর অভিযোগ, 'অগ্নিপথ-এ দেশের যুবশ্রেণি হতাশ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দারিদ্রের জ্বালায় দেশের যুবশ্রেণি পথে নেমেছে। তারা পথে নামতে বাধ্য হয়েছে।'
Read full story in English