সারা বিশ্বের নিরিখে ১১ তম যানযটপুর্ণ শহর হিসাবে উঠে এসেছে দিল্লির নাম। টমটম ট্র্যাফিক ইনডেক্সের(TomTom Traffic Index) একাদশ তম সংস্করণে যানযটের নিরিখে সমগ্র বিশের প্রায় ২৫ টি শহর তালিকায় স্থান পেয়েছে। ভারত থেকে চারটি শহর স্থান পেয়েছে সেই তালিকায়। তার মধ্যে রয়েছে পঞ্চম স্থানে মুম্বই, দশম স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু, ৫৮ দেশের ৪০৪টি শহরের মধ্যে পুনের স্থান উঠে এসেছে একুশে।
টমটম ট্রাফিক ইনডেক্স সারা বিশ্বের বিভিন্ন শহরে যানজটের পরিস্থিতি, রিয়েল-টাইম ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এবং যানজট সংক্রান্ত ডেটা প্রদান করে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে ভারতের যানজটের মাত্রা প্রাক-কোভিড সময়ের তুলনায় ২৩% কম ছিল। ২০২০ সালে সারা বিশ্বের মেট্রো শহরের নিরিখে দিল্লির স্থান ছিল অষ্টম। রিপোর্ট অনুসারে দেখা গেছে কোভিড কালে সারা বিশ্বে সেই সঙ্গে ভারতেও যানযটের মাত্রা তুলনামূলক অনেক কম ছিল।
এর কারণ ছিল সেই সময় বেশির ভাগ অফিস কাছারি, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে লোকেরা রাস্তায় ড্রাইভিং এড়িয়ে চলতেন সেই সঙ্গে অধিকাংশ স্থানে বন্ধ ছিল গনপরিবহন। প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে দিল্লিতে সামগ্রিক যানজটের মাত্রা ছিল ২০২১ সালে ৪৮ শতাংশ যেখানে ২০২০ সালে ৪৭ শতাংশ ছিল৷ ২০১৯ সালে, এটি ছিল ৫৬ শতাংশ৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০২১ সালে, দিল্লিতে সন্ধ্যার সময় গড় যানজটের মাত্রা ৭৭ শতাংশের মধ্যে ছিল। সকালের ভিড়ের সময়, বিশেষ করে অফিস টাইমে জাতীয় রাজধানীতে গড় যানজটের মাত্রা ছিল ৫৩ শতাংশে।
আরো পড়ুন: নিম্নমুখী দেশের কোভিড-গ্রাফ, একদিনে করোনামুক্ত দেড় লক্ষের বেশি
২১শে আগস্ট, ২০২১-এ যখন দিল্লিতে ১৩৯ মিমি রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছিল, তখন গড় দৈনিক যানজট ৭১ শতাংশে পৌঁছেছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউকালে দিল্লিতে যানযটের মাত্রা নেমে আসে মাত্র ৩৮ শতাংশে। এপ্রিল এবং মে মাসে তা আরও কমে আসে ১৫ শতাংশে। তথ্য বলছে, গত বছর গড়ে ভ্রমণের সময় প্রতিদিন ১ মিনিট বেড়েছে। কিন্তু, ২০১৯ সালের তুলনায়, দিল্লির গড় যানজটের মাত্রা ১৪ শতাংশ কমেছে শুধুমাত্র কোভিড কালেই।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে যানযটের কারণে গাড়ি চালানোর সময় একজন গড় দিল্লিবাসী ১৫২ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন। যানজট স্তরের শতাংশ নির্দেশ করে যে একজন চালক এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে কতটা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন। মানি কন্ট্রোল জানিয়েছে, সারা বছর ধরে পুরো সড়ক নেটওয়ার্কে সমস্ত যানবাহনের ফ্রি-ফ্লো ভ্রমণের সময় বিশ্লেষণ করে শহর প্রতি বেসলাইন গণনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি যানজটের মাত্রা ৩০ শতাংশ হয়, তাহলে এর মানে হল, বেসলাইন নন-কনজেশন পরিস্থিতিতে ভ্রমণের জন্য গড়ে ৩০ শতাংশ বেশি সময় লেগেছে।