প্রেমিকাকে খুন করতে ভয়ানক পরিকল্পনা। পরপর ২০ বার ছুরির কোপ। পাথরের স্ল্যাব দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মুখ। রাজধানীর বুকে হাড়হিম ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে দেশকে। অবশেষে সাহিলকে জেরা করে উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ছুরি। দিল্লি হত্যাকাণ্ডে বড় সাফল্য পেল পুলিশ। অভিযুক্ত সাহিল খানকে জেরা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাজধানীর শাহবাদ ডেইরি এলাকায় নাবালিকা খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ জানায়, রিথালা মেট্রো স্টেশনের কাছে সেক্টর-১১ থেকে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। ছুরি নিয়ে তরুণীর ওপর প্রায় ২০টি হামলা চালায় সাহিল। এরপর ভারী পাথরের স্ল্যাব দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মুখমন্ডল। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, 'আসামিদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ তিন দিন বাড়িয়েছে আদালত। তাকে পুনরায় জেরা করা হয় এবং জেরার মুখে সাহিল অপরাধে ব্যবহৃত ছুরিটি কোথায় ফেলেছে তা পুলিশকে জানায়। সাহিল বারবার তার বক্তব্য বদল করায় তদন্তে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। নিহত ভাবনার বেশ কয়েকজন বন্ধুকেও আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে'।
প্রেমিকাকে হত্যার ১৫ দিন আগে ছুরিটি কিনেছিল অভিযুক্ত সাহিল। পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্ত সাহিল ১৫ দিন আগে নাবালিকা প্রেমিকাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সাহিল পুলিশকে জানিয়েছে, খুনের রাতে পুলিশ রিথালা মেট্রো স্টেশনের কাছে রোহিণী সেক্টর ১১ এলাকা থেকে ছুরিটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নাবালিকার শরীরে ৩৪টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে এবং তার মাথার খুলিও ফেটে গিয়েছিল। খুনের পরদিন উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহিলকে। অপরাধের পর সে ছুরিটি ঝোপে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। জিজ্ঞাসাবাদে সাহিল জানায়, নাবালিকা বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে ক্রমাগত উপেক্ষা করে আসছিল, যার কারণে সে ক্ষিপ্ত ছিল। সেই কারণেই দিল্লির শাহবাদ ডেইরির গলিতে ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ১৬ বছরের প্রেমিকাকে।