হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় ধৃত বেড়ে ২১। এছাড়া আরও ২ নাবালককে আটক করা হয়েছে। দাঙ্গা বাঁধানো ও বেআইনিভাবে জমায়েতের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন যিনি একটি মোবাইল ফোন সারানোর দোকানে কাজ করেন, তিনিই প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার অপরাধমূলক কাজের রেকর্ডও রয়েছে।
ডিসিপি (উত্তর-পশ্চিম জেলা) ঊষা রঙ্গনানি বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীদের একজন জাহাঙ্গিরপুরীর বি ব্লকের বাসিন্দা মোহম্মদ আনসার (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দুটি হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাকে প্রতিরোধমূলক ধারায় বারবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতের বিরুদ্ধে জুয়ো এবং অস্ত্র আইনে পাঁচবার মামলা করা হয়েছিল। আমরা ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচটি তলোয়ার উদ্ধার করেছি।''
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে অন্তত আটজনের আগে অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড রয়েছে। যাদের এর আগেও দাঙ্গা থেকে শুরু করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। জাহাঙ্গিরপুরী থানায় নথিভুক্ত এফআইআরে বলা হয়েছে, ''হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এটি একটি শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। সন্ধে ৬টার দিকে শোভা যাত্রাটি সি-ব্লকের একটি মসজিদের কাছে পৌঁছোয়। তখনই মোহম্মদ আনসার নামে ওই ব্যক্তি-সহ চার-পাঁচজন শোভা যাত্রায় বেরনো কয়েকজনের সঙ্গে বচসায় জড়ায়। তর্ক-বিতর্ক বাড়তে থাকে। এর পরেই উভয় পক্ষ পাথর ছোড়া শুরু করে।''
আরও পড়ুন- হনুমান জয়ন্তী ঘিরে অশান্তি অন্ধ্রেও, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে আহত ১০
উল্লেখ্য, হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে দিল্লিতে। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত শোভা যাত্রা বেরনোর পরেই উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ২০২০-এর ফেব্রুয়ারির উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার পর এটিই ছিল রাজধানীতে প্রথম বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
২০২০-এর দাঙ্গায় দিল্লিতে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বহু মানুষ আহতও হয়েছিলেন। যদিও শনিবার হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের ৬ কর্তা-সহ ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
Read full story in English