সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লি। গত পাঁচ দিনে ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দিল্লিতে। তার মধ্যে মাত্র ১১ জন টিকার দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। মৃতদের মধ্যে ২৫ জন ষাটোর্ধ্ব, ৩৪ জন কোমর্বিডিটি যুক্ত। আর ২১ জন অন্য কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কোভিড পজিটিভ হন।
আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের অনেকেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন, বা প্রসূতি যাঁদের গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁদের। দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সোমবার বৈঠকে বসেন রাজধানীর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে। সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপরাজ্যপাল অনিল বাইজল। সেই বৈঠকেই এই তথ্য উঠে আসে।
জানা গিয়েছে, গত ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি ৪৬ জন কোভিডে মৃত। তাঁদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ১৮ জন মহিলা। একজন ১৫ বছরের নীচে রয়েছে। একজন ২০ বছরের নীচে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার পর। ডাক্তারদের পরামর্শেই তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ, দিল্লিতে বন্ধ হল রেস্তরাঁ-পানশালার দরজা
এদিকে, ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফের জেরে রাজধানী দিল্লিতে বন্ধ হল রেস্তরাঁ-পানশালার দরজা। এবার থেকে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি বা বাড়ি নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়ার অনুমতি মিলেছে। দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে এই নির্দেশিকার জেরে মাথায় হাত পড়েছে বার-রেস্তরাঁ মালিকদের। অতিমারিতে বিরাট ধাক্কার সম্মুখীন তাঁরা।
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও বন্ধ হয়েছিল রেস্তরাঁ-পানশালার দরজা। তখনও শুধুমাত্র হোম ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়। তার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ৫০ শতাংশ কর্মী-গ্রাহক এবং সময় বেঁধে ফের চালু হয় রেস্তরাঁ-পানশালাগুলি। কিছুটা লাভের মুখ দেখছিলেন মালিকরা। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের বন্ধ হল রেস্তরাঁ-পানশালা।