দিল্লির মেহেরাউলির বিধায়ক নরেশ যাদবের কনভয় লক্ষ্য করে হামলা, চলল গুলি। বিধায়ক অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক আপ স্বেচ্ছাসেবক। গুলিতে জখম হয়েছেন আরও একজন। মন্দির থেকে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন মেহেরাউলির দ্বিতীয়বারের বিধায়ক নরেশ। সেই সময়ই তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার সকালে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিসিপি (দক্ষইণ-পশ্চিম) জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি মেহেরাউলির মোড়ে। কিষাণগড়ের দিক থেকে দুষ্কৃতীরা এসে বিধায়কের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিতে নিহত হয়েছেন আপের স্বেচ্ছাসেবক অশোক মান। গুরুতর জখম আরেক স্বেচ্চাসেবক হরিন্দর। পুলিশের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেবল দু'জন গুলিবিদ্ধের কথাই তাদের জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনুরাগ, পরবেশদের প্ররোচনামূলক প্রচারের বিধানসভাগুলোয় খাবি খাচ্ছে বিজেপি
আপের এক স্বেচ্ছাসেবকের কথা অনুশারে, খোলা জিপে ছিলেন বিধায়ক নরেশ যাদব। মন্দির থেকে পুজো দিয়ে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং টুইটে জানিয়েছেন, 'দুষ্কৃতীদের গুলিতে দলের সদস্য অশোক মান নিহত হয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত এই শুটআউটের ঘটনায় একজনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।' এই প্রসঙ্গে দিল্লির শাসক দলের টুইটারেও একই বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
নরেশ যাদবের দলের ঘনিষ্টদের তরফে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলা হয়, রাত ১১টার সময় মন্দির থেকে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মেহেরাউলির বিধায়ক। মাঝপথে একজন ব্যক্তি গাড়ির দিকে এগিয়ে আসে ও আচমকাই গুলি ছোড়ে। তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল কিনা তা বোঝা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কিষাণগড় থানা। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই গুলি চালানো হয়েছে। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ছিল তিন জন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন