Omicron Cases in India: বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার অনেকটাই কমল দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ। প্রায় ৪ হাজার কমে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ২৪,৩৮৩। বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শিখরে পৌঁছেছিল দিল্লির সংক্রমণ। কিন্তু একদিনের মধ্যেই গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় সাময়িক স্বস্তি। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ৩০.৬%।
তবে শুধু দিল্লি নয় দৈনিক সংক্রমণ কমেছে মুম্বইয়ের। একদিনে বাণিজ্য নগরীতে সংক্রমিত ১১,৩১৭, মৃত ৯। এমনকি শহরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮৪% উপসর্গহীন। সে শহরে এই মুহূর্তে সক্রিয়ভাবে সংক্রমিত ৮৪,৩৫২।
এদিকে, প্রায় দু’বছর ধরে করোনা পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতিকে ক্রমশ দুর্বল করেছে। গত ডিসেম্বরেই চড়া হয়েছে বেকারত্বের হার। মাঝে কিছুদিন হলেও নিউ নর্মালে ফিরেছিল জীবন এবং জীবিকা। দেশে ক্রমবর্ধমান ওমিক্রন পরিস্থিতি আবারও কি নতুন করে অর্থনীতিকে ঠেলে নিয়ে যাবে মৃত্যুর মুখে প্রশ্নটা অনেকের মনেই উঠতে শুরু করেছে। যদিও ইতিমধ্যেই দেশের বেহাল অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধী শিবির। তবে রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট ঘিরে ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে। কি জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে?
নয়া এই রিপোর্ট অনুসারে, করোনা দ্বিতীয় ঢেউকালে যেভাবে মার খেয়েছিল ভারতের অর্থনীতি,ওমিক্রনের প্রভাবে আরও একবারের জন্য মুখ থুবড়ে পড়তে পারে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। ফ্ল্যাগশিপ ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস (ডব্লিউইএসপি) ২০২২ রিপোর্টেও উঠে এসেছে একই সাবধানবানী। রিপোর্টে বলা হয়েছে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে আরও একবার ছারখার হয়ে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি। ডেল্টা ভ্যরিয়েন্ট যেভাবে ভারতকে ছারখার করেছে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে এবারও। রিপোর্ট অনুসারে গত বছর এপ্রিল থেকে জুন এই সময়কালের মধ্যেই ভারতে প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ করোনার বলি হয়েছেন। ওমিক্রন যেভাবে তার ব্যপ্তি বিস্তার করছে তাতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সেই একই ছবি আবারও আমাদের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠতে পারে সাবধানবানী রাস্ট্রসংঘের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন