রবিবার ভোরে পূর্ব দিল্লির বিবেক বিহারে একটি বেবি কেয়ার হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন। ঝলসে মৃত্যু হল সাত নবজাতকের। ঘটনার বিষয়ে অবহিত করে, প্রশাসনিক কর্তা সুরেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, '১২ টি শিশুকে উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে একটি শিশুকে মৃত অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়। আরও ছয়জনকে পরে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল'।
দিল্লি দমকল বিভাগের (ডিএফএস) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার গভীর রাতে ওই শিশু হাসপাতালে আগুন লাগে। ডিএফএস প্রধান অতুল গর্গ জানিয়েছেন যে পাঁচটি শিশুকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। যে সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য জিটিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, 'শিশু হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি শোকাহত। এই দুর্ঘটনায় যারা তাদের নিষ্পাপ সন্তানকে হারিয়েছে আমরা সবাই তাদের পাশে আছি। সরকার ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং যারাই এই ঘটনায় দায়ী তাদের কোন ভাবেই রেয়াত করা হবে না'।
'অ্যাকশনে' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়- <Jadavpur University: ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ‘অ্যাকশনে’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কঠোর পদক্ষেপ কাঁপুনি ধরাবে>
দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ তিনি লিখেছেন, "যাদের অবহেলার কারণে সাতটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।"
জানা গিয়েছে, স্থানীয় লোকজন ও দমকল বিভাগের কর্মীরা হাসপাতালের প্রথম তলা থেকে ১২টি শিশুকে উদ্ধার করে, যাদের মধ্যে ৭ জন পরে মারা যায়। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বাইরে একটি গাড়িতে রাখা সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের কারণেই শিশু হাসপাতালেও আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন বিশাল আকার ধারণ করে।
'অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হৃদয়বিদারক'-প্রধানমন্ত্রী মোদী
বেবি কেয়ার সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।