Delhi Omicron Cases: ওমিক্রন আতঙ্ক ছুয়েছে দিল্লিকে। এই প্রজাতির সংক্রমণ দেশে ডেকে আনতে পারে তৃতীয় ঢেউ। এমন একটা আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তাই পূর্বাভাসকে মান্যতা দিল্লিতে বড়দিন এবং ইংরাজি নববর্ষের জমায়েত নিষিদ্ধ হল। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বা ডিডিএমএ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বড়দিন এবং বর্ষবরনের কোনও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা যাবে না রাজ্যে। এই বিধি বলবৎ জমায়েত করে উদযাপনেও।
একসপ্তাহ আগের একটা নির্দেশিকায় সংশোধনী এনে ডিডিএমএ বলেছে, '১৫ ডিসেম্বরের নির্দেশে বলা সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদন, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বড় জমায়েতেও। তাই সব জেলা শাসক এবং পুলিশকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে এই সময়ের মধ্যে যাতে বড়দিন এবং নিউ ইয়ার উদযাপনের কোনও অনুষ্ঠান না হয়। দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী এলাকায় কোনও বড় জমায়েত যাতে না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।‘
কী রয়েছে সেই গাইডলাইনে
প্রথমত, স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যে সমস্ত জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ বা তার বেশি গত এক সপ্তাহে বা জেলার হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সাপোর্টেড আইসিইউ বেড অকুপেন্সি ৪০ শতাংশ। সেক্ষেত্রে জেলাস্তরে কনটেনমেন্ট বিধি আরোপ এবং কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে হবে।
যদি পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের কম হয়
সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ, স্থানীয় পরিস্থিতি, জনঘনত্ব মাথায় রেখে ওমিক্রনের অতি সংক্রামক চরিত্রের দিকে নজর রাখতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে কনটেনমেন্ট বিধিনিষেধ আগেই আরোপ করতে পারে প্রশাসন।
কেন জেলাগুলিতে কোভিড বিধিনিষেধ
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিশেষ করে উল্লেখ করেছে, বর্তমান বিজ্ঞানভিত্তিক প্রামাণ্য়ের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে তিন গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। তাই জেলাস্তরে সংক্রমণ বৃদ্ধির লক্ষণ দেখলেই কোভিড বিধিনিষেদ দ্রুত জারি করতে হবে। কোনওভাবেই যেন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি না হয়।
কনটেনমেন্টের জন্য কী গাইডলাইন
কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই নাইট কার্ফু জারি করতে হবে। বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি, বিয়ে, শ্রাদ্ধ বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিথি-অভ্যাগতদের প্রবেশে লাগাম পরাতে হবে। অফিস-কাছারি, শিল্পোদ্যোগ এবং গণপরিবহন ব্যবস্থায় ভিড়ের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে কনটেনমেন্ট জোন, বাফার জোন তৈরি করতে হবে। গাইডলাইন মেনে কঠোর বিধিনিষেধ মানার জন্য প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক ক্লাস্টারের নমুনা সংগ্রহ করে INSACOG ল্যাবে পাঠাতে হবে জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন