দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। শনিবারই ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। তাঁর সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজভূত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও বিশ্ব মন্দার নানান বিষয়ে আলোচনা হয়। সফরকালে মোদী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজকে দিয়েছেন বিশেষ উপহার। জার্মানির চ্যান্সেলরকে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প উপহার দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্মৃতি হিসেবে দিয়েছেন মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের শাল। উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল জ্যামিতিক ও প্রতীকী নকশার ব্যবহার।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলা এই বৈঠকের পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং জার্মান চ্যান্সেলর শোলজ যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বড়সড় বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ভারত সবসময়ই আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এই বিরোধের সমাধানের জন্য জোর দিয়ে আসছে। যে কোন শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে দুটি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক অর্থনীতি ভারত ও জার্মানির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ইউরোপে আমাদের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হওয়া ছাড়াও, জার্মানি বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আমরা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছি। ভারত এবং জার্মানি হাইড্রোজেন এবং জৈব জ্বালানী সহ নানাবিধ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা সকল গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি’।
একই সময়ে মোদী আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সুসম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেন, “ভারত অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতি করেছে এবং এটি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার আগ্রাসনের খেসারত সারা বিশ্ব দিয়ে চলেছে। শেষবার যখন আমি ভারত সফরে এসেছিলাম সেই ভারত আর আজকের ভারতের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। আমি খুশি যে এই বছর ভারত G20-এর সভাপতিত্ব পেয়েছে”।