বুলন্দশহরে হিংসায় পুলিশ ইন্সপেক্টরকে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে পাকড়াও করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সুবোধ কুমার সিংকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দিল্লির এক ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ট্যাক্সিচালক প্রশান্ত নাটকে(৩০) সেদিনের ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল। যদিও এফআইআরে নাম ছিল না ধৃতের। তবে এ ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত বজরং দলের কর্মী যোগেশ রাজকে এখনও হাতে পায়নি পুলিশ। এদিকে প্রশান্তকে মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করেছেন দুই প্রত্যক্ষদর্শী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়ডা-বুলন্দশহর সীমান্ত থেকে প্রশান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ট্যাক্সিচালককে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হবে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে বুলন্দশহরের এসএসপি প্রভাকর চৌধুরি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘গত কয়েকদিনে এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই অভিযুক্তদের জেরায় প্রশান্তের নাম পেয়েছিলাম। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও যাচাই করে দেখি। চিংড়াবতীতে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতারি এড়য়েছিল প্রশান্ত। গ্রাম ছেড়েছিল তার পরিবারও।’’
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রশান্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ইন্সপেক্টর খুনের পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিশ। সেদিন সুবোধ কুমার সিংকে প্রথমে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে প্রশান্ত ও আরও তিন অভিযুক্ত। পরে তাঁকে লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয়। পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গোহত্যার অভিযোগে গত ৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরে হিংসায় পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিং ও সুমিত কুমার নামে স্থানীয় এক যুবককে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন, বুলন্দশহর কাণ্ডে বিজেপি, বজরং দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নোটিস
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বুলন্দশহরের এসএসপি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আরও জানিয়েছেন, ‘‘প্রশান্ত ও আরও তিন অভিযুক্ত রাহুল, ডেভিড, জনি সেদিন সুবোধকে ঘিরে ফেলে প্রথমে। তাঁকে লক্ষ করে পাথর ছোড়ে তারা। এমন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষা করতে গুলি চালান সুবোধ। সেই গুলি লাগে সুমিতের দেহে...কিন্তু শেষমেশ নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি ইন্সপেক্টর। সুবোধের সার্ভিস রিভলভার নিয়ে তাঁর মাথায় গুলি করে প্রশান্ত। গত সপ্তাহে বাকি অভিযুক্তরা একথা জানিয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে ট্যাক্সিচালক হিসেবে কাজ করত বলে জানিয়েছে প্রশান্ত। গত ৬ মাস বেকার ছিল সে। চিংড়াবতীতে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকত প্রশান্ত। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এ ঘটনার আগেও অপরাধীর তালিকায় নাম ছিল প্রশান্তের। অস্ত্র আইনের মামলায় নাম জড়িয়েছিল তার। সেইসঙ্গে মদ পাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
Read the full story in English