কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন হরিয়ানা-পাঞ্জাবের কৃষকেরা। এবার বাঁধ ভাঙল ধৈর্য্যের। বৃহস্পতিবারই 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছে দেশের একাধিক কৃষক সংগঠন। দিল্লির জাতীয় সড়ক পথ থেকে সীমান্ত, পড়শি রাজ্য পাঞ্জাব-হরিয়ানার থেকে আসা হাজার হাজার কৃষকদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদে অশান্ত হয়েছে রাজধানী। জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের সেল রোখা যাচ্ছে না বিদ্রোহ। এমতাবস্থায় কৃষকদের শান্ত হওয়ার আর্জি জানালেন রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
বিক্ষোভের জের এতটাই ব্যারিকেড, লাঠিচার্য, জলকামান কোনও কিছুই রুখতে পারেনি কৃষকদের। রাতভর অশান্তি জারি ছিল রাজধানীর রাজপথে। তবে দিল্লি সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। রয়েছে অতন্দ্র প্রহরাও। হরিয়ানা থেকে আসা কয়েক হাজার কৃষক পানিপথ টোল প্লাজা থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে দিল্লি-আম্বালা হাইওয়েতে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে পাঞ্জাব থেকে আসা কৃষকেরা কর্নাল সীমান্তে রাত কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন, রাজ্যের প্রশাসনিক পদ ছাড়লেন শুভেন্দু, কল্যাণে ভরসা মমতার
শুধু পায়ে হেঁটে নয়, ট্র্যাক্টর, বাস, জিপ, লরি, ট্রাক যে যেমন পারছেন রাজধানীমুখী হয়েছেন সকলেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সংবাদমাধ্যমকে জানান সরকার কথা বলতে রাজি। কৃষকদের সমস্যা শুনে তা সমাধানও করতে আগ্রহী কেন্দ্র। কৃষিমন্ত্রীর কথায়, "আমি আমার সকল কৃষকভাইদের বলব আপনারা উত্তেজিত হবেন না। আমি নিশ্চিত কথা বলার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।"
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় রাজনাথ সিং জানান তিনি নিজেও একজন কৃষকের সন্তান। সরকার কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমি তাঁদের অনুরোধ করছি বিক্ষোভ থামান। আমি আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, আমি নিজেও কৃষক পরিবারের সন্তান। সেই পরিবারের হয়েই আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে না।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন