Advertisment

লঙ্কার গুঁড়োর পর তাজা বুলেট! শোরগোল কেজরির ঘরে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জনতা দরবারে অংশ নিতে এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে এসেছিলেন মহম্মদ ইমরান নামের এক ব্যক্তি। সিকিউরিটি চেকের সময়ই তাঁর কাছ থেকে মেলে তাজা বুলেট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kejriwal, কেজরিওয়াল

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

লঙ্কার গুঁড়োর পর এবার তাজা বুলেট! আতঙ্ক যেন কাটছেই না কেজরির। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তাজা বুলেট-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লঙ্কাকাণ্ডের পর যে ঘটনায় আবারও শোরগোল পড়েছে দিল্লি দরবারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জনতা দরবারে অংশ নিতে এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে এসেছিলেন মহম্মদ ইমরান নামের এক ব্যক্তি। সিকিউরিটি চেকের সময়ই তাঁর কাছ থেকে মেলে তাজা বুলেট। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে কঠোর অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর।

Advertisment

এ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মসজিদের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন মহম্মদ ইমরান। ওয়াকফ বোর্ড যাতে বেতন বাড়ায়, সেই আর্জি জানাতেই ইমরান এদিন জনতা দরবারে আসেন। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, মসজিদের তহবিল বাক্সে কয়েকদিন আগে ওই তাজা বুলেট পাওয়া যায়। জেরায় ইমরান জানিয়েছেন যে, যমুনা নদীতে ওই তাজা বুলেট ফেলে দেবেন বলে প্রথমে ঠিক করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে নিজের ওয়ালেটেই তা রাখেন। ঠিক কী কারণে তাজা বুলেট নিজের কাছে রাখলেন ইমরান? কেনই বা তা কেজরির বাসভবনে নিয়ে এলেন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: কেজরির চোখে লঙ্কার গুঁড়ো!

উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই কেজরির মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারেন এক ব্যক্তি। সেদিন কাজ সেরে বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন বলে বেরিয়েছিলেন কেজরি। আচমকাই তাঁর সামনে এসে হাজির হন এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। বেশ কিছু বিষয়ে ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেন তিনি। সেইসময়ই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারেন ওই ব্যক্তি। এর জেরে কেজরিওয়ালের চশমাও মাটিতে পড়ে যায়।

আম আদমি পার্টি প্রধানের উপর এমন হামলা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজধানীতে। এই হামলা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় আপ। অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এটা চক্রান্ত বলে পাল্টা অভিযোগ তোলে বিজেপি। সোমবার বিধানসভায় কেজরিওয়াল দাবি করেন যে, গত ২০ নভেম্বরের ওই হামলার পিছনে বিজেপি জড়িত। সেদিন কেজরি বিধানসভায় আরও বলেন, "যদি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সুরক্ষা না দিতে পারেন, তবে নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগ করা উচিত।"

Read the full story in English

AAP Arvind Kejriwal
Advertisment