টিকার অপর্যাপ্ত সরবারহে বিশবাঁও জলে গণটিকাকরণ। থমকে প্রবীণদের দ্বিতীয় ডোজ এবং নবীনদের প্রথম ডোজ। এই আবহে টিকা কেনার দায় গিয়ে পড়েছে রাজ্যের ঘাড়ে। বুধবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, ‘এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে টিকা কিনতে পরস্পরের সঙ্গে টেক্কা দিতে অক্ষম রাজ্যগুলি। এরপর এমন দিনও আসতে পারে, যে পাকিস্তান হামলা করলেও আত্মরক্ষায় রাজ্যগুলিকে যার যার মতো অস্ত্রশস্ত্র এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনতেও বাধ্য করা হতে পারে।‘
তিনি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘আমাদের যুদ্ধ করোনার বিরুদ্ধে। পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার সময় নয় এটা। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, টিকা জোগাড় করা আমাদের কাজ নয়। আপনি এনে দিলে তবেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারব।’ এমনকি অন্য দেশের মতো দেশব্যাপী টিকাকরণের ভার কেন্দ্রই নিক। এদিন আবেদন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবারও দিল্লিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ। দৈনিক মৃত্যুও দেড়শোর উপরেই রয়েছে। কিন্তু সার্বিক টিকাকরণ এখনও সে ভাবে গতিই পায়নি। এ নিয়েই মূলত কেন্দ্রকে একহাত নেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘দেশ টিকা কিনছে না কেন? রাজ্যের উপর এ ভাবে দায় চাপিয়ে দেওয়া যায় না। কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমাদের। এখন যদি পাকিস্তান হামলা করে, যার যার মতো করে আত্মরক্ষার ভারও কি রাজ্যগুলির উপর ছেড়ে দেবে কেন্দ্র? উত্তরপ্রদেশ কি নিজের জন্য ট্যাঙ্ক কিনবে? দিল্লিকে কি নিজের জন্য বন্দুক কিনতে হবে?’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার জন্যও কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন কেজরীবাল। তিনি বলেন, ‘বাকি দেশগুলি সময় থাকতেই টিকাককরণে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু ভারত ছ’মাস দেরি করেছে। ভারতে প্রথম টিকা ভারতীয়রাই তৈরি করেন। তখন থেকেই টিকা মজুত করা উচিত ছিল। তা হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কিছু মৃত্যু অন্তত আটকানো যেত।’